ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চৌগাছায় সড়কের মাটি কেটে বিক্রি

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

চৌগাছায় সড়কের মাটি কেটে বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় সরকারী খাল খননের মাটি দিয়ে নির্মিত সড়ক কেটে সাবাড় করেছে একটি মহল। রাতের আঁধারে সমুদয় মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। এলাকাবাসী ঘটনাটি তদন্তপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলার পুড়াপাড়া আদিবাসী মহল্লার পাশ হতে একটি খাল খড়িঞ্চা বাঁওড়ে মিলিত হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মাঠের ফসল রক্ষায় আশির দশকে খালটি খনন করা হয়। খাল খননের পর এর উত্তরপাশ দিয়ে (প্রায় ৩ কিঃ মিঃ) একটি সুপ্রশস্ত সড়ক পুড়াপাড়া থেকে দেবালয় হয়ে কমলাপুর মোড়ে উঠেছে। সড়কটি স্থানীয়দের শুধু চলাচল করাই নয় এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ঘরে আনতে ব্যবহৃত হয়। দু’বছর আগে সরকার খালটি পুনরায় খনন করে। খাল খননের মাটি দিয়ে পাশের সড়কটি আরও সুন্দর ও চলাচল উপযোগী করেন সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোতা মিয়া। কিন্তু হঠাৎ গত সপ্তাহে সাঞ্চাডাঙ্গা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মোশারফ হোসেন ওরফে মুসার ছেলে মাসুদ রানা সড়কের মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাঘাকুড়ো মাঠ নামক স্থান থেকে সড়কের পাশের সমুদয় মাটি তিনি রাতের আঁধারে কেটে অন্তত ২০টি ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করেছেন। সড়কের মাটি কেটে নেয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুম এলে সড়কটি ভেঙ্গে খালে মিশে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, মাটি কেটে নেয়া স্থানটিতে কোন রকমে মানুষ চলাচল করতে পারছে। মাঠে কর্মরত স্থানীয় কৃষক আলী বক্স, আমিরুল ইসলাম, রাসেল হোসেন, আওলিয়ার রহমান বলেন, যে ব্যক্তি এই সড়কের মাটি কেটেছেন, সে নিজের জমি থেকে মাটি কেটেছে বলে দাবি করছেন। কিন্তু এটি তো একটি সড়ক, কয়েক গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর সড়কটি ব্যবহার করে আসছে। প্রথমে দিনেরবেলা মাটি কাটতে শুরু করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এরপর কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর রাতের আঁধারে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে সরিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখান থেকে মাটি কাটা হয়েছে সেখানে আমার ৮/১০ বিঘা জমি আছে। খাল খননের সময় মাটি আমার জমিতে এসেছে, তাই সেই মাটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরূপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল কদর বলেন, প্রথম যেদিন তারা মাটি কাটতে শুরু করে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটতে নিষেধ করি। তারা নিষেধ শুনে চলে যায়, পরবর্তীতে জানতে পারি রাতের আঁধারে মাটি কেটে নিয়ে গেছে। তারা এটি চরম অপরাধ করেছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
×