ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

মাদারীপুরে হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে একটি হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যু দন্ড দিয়েছেন মাদারীপুরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস। সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ সময় ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ৫ আসামির মধ্যে ৪ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। একজন আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার মৃত চৈতন্য বৈদ্যর ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরাঙ্গ বৈদ্যের সাথে একই এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্যের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর পূজার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী ও বিষ্ণুপদ বৈদ্যের মাতা রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একই এলাকার চৈতন্য বৈদ্যের ছেলে অশোক বৈদ্য, তরনী বৈদ্য, গৌরাঙ্গ বৈদ্য, কালু বিশ্বাস (পিতা অজ্ঞাত), নরেন বৈরাগী ও বিজয় বেপারী। অপহরণের পরের দিন রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্য। মামলার দায়েরের ১০ দিন পর থানা পুলিশ পার্শ্ববর্তী পাখুল্লা বিলের মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে নিহত রাধা রানী বৈদ্যের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোখলেসুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময় গৌরাঙ্গ বৈদ্য মারা যায়। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সোমবার এ রায় প্রদান করেন। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন-আমগ্রাম এলাকার অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরনী বৈদ্য ও বিজয় বেপারী। প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিজয় বেপারী পলাতক রয়েছে। মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যকে পাখুল্লার বিলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে আসামিরা। হত্যাকান্ড ঘটার ১১দিন পর ওই বিল থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ১১ জন সাক্ষী উপস্থাপন করি। অবশেষে বিজ্ঞ অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রায় প্রদান করেন। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।”
×