ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ, তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

রাজশাহীতে ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ, তিনজনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। রেড জোনে থাকা রাজশাহী। বর্তমানে রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণের হার ৬০ শতাংশেরও বেশি। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ৬০ দশমিক ৪৯ শতাংশে। যা এর আগের দিনও ছিল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। পরিস্থিতি স্পষ্টই যে, মরণঘাতী ডেল্টার ভয়াল আগ্রাসনের মধ্যেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনেরও পিক আওয়ার শুরু হয়ে গেছে। আর সর্বোচ্চ সংক্রমণের এই দিনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিন জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন করেনা পজিটিভ ছিলেন। অপর দুজন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, মারা যাওয়া তিন জনের একজন নারী অন্য দুজন পুরুষ। এই তিন জনের একজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে এবং দুজন করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে থাকা ১০৪ শয্যার বিপরীতে ৫১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এই ৫১ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগী আছেন ৩৫ জন, করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৫ জন। এছাড়া অপরজনের করোনা শনাক্ত হয়নি। এদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ২৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়, নওগাঁর পাঁচ, নাটোরের তিন, পাবনার পাঁচ, কুষ্টিয়ার চার, চুয়াডাঙ্গার এক, সিরাজগঞ্জের এক, জয়পুরহাটের একজন এবং বগুড়ার একজন রোগী রয়েছেন। এদিকে, রবিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে ৫৬ জনের জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬ জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। পরীক্ষার পর অর্ধেকেরও বেশি করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হচ্ছে রাজশাহীতে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) নাজমা আক্তার বলেন, এই সময় দ্রুত করোনার টিকা গ্রহণ ও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। টিকা নেওয়ার পরও কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। বিধিনিষেধ না মানলে, মাস্ক না পরলে পরিস্থিতি গত মে-জুনের মত নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।
×