ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুগন্ধা ট্রাজেডি ॥ একমাসেও অভিযান লঞ্চের ৩২ যাত্রীর খোঁজ মেলেনি

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

সুগন্ধা ট্রাজেডি ॥ একমাসেও অভিযান লঞ্চের ৩২ যাত্রীর খোঁজ মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের এক মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদেও দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এখনো লঞ্চের ৩২ যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। এরমধ্যে ১৩ জন শিশু, ১১জন নারী ও আটজন পুরুষ। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৪ জনকে। এখনো নিখোঁজ প্রিয়জনের খোঁজে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর তীরে মাঝেমধ্যে দেখা যায় স্বজনদের। অপরদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও নৌমন্ত্রণালয় তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লেগেছে বলে জানানো হয়। এজন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তথ্য মতে, নিখোঁজ ৩২ জনের জন্য তাদের ৫১ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এক মাসেও শেষ হয়নি ডিএনএ পরীক্ষা। বরগুনার গণকবরে দাফন করা হয়েছে ২৩ জনের লাশ। নদী থেকে উদ্ধারের পর একজনকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ধারণা করে ঝালকাঠির পৌর মহাশ্মশানে সমাহিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় লঞ্চের মালিকসহ গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিদের শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম। সূত্রমতে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদেও শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। লঞ্চ থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে বলেও তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী জনকণ্ঠকে বলেন, গত ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দরা রিপোর্ট আমার কাছে জমা দিয়েছে। যা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করা হয়েছে।
×