ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রায়পুরায় সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

রায়পুরায় সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে

সংবাদদাতা, রায়পুরা, নরসিংদী ॥ নরসিংদীর রায়পুরায় মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্বহরিপুর দাইড়ের পার খালের উপর সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে পোরাতন ভ্রম্মপুত্র নদীর পাশ দিয়ে চলা আলগী বাজার পর্যন্ত ১২কি মি সড়কের যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পাশে পরে আছে ইট বালি সুরর্কী পুরোনো রড। দুই পাশে বেশ গর্ত। স্থানীয়রা পায়ে হেঁটে এপার থেকে ওপারে পার হচ্ছেন। মূল সড়কে উঠানোর জন্য রিক্সায় ঠেলা দিচ্ছেন এক যাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ সেতু নির্মাণ করা হলে উপজেলার মুছাপুর ও মহেষপুর ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যস্ততার উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে একধাপ এগিয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে এসে জেলা পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ বিভিন্ন জেলা সাথে সরাসরি আসা-যাওয়া করতে পারছেনা। এই গ্রামগুলাতে প্রচুর ধান, পাট, পেঁয়াজসহ হরেক রকমের শাকসবজি কৃষকরা চাষ করলেও যাতায়াত ব্যবস্থা সাবলীল না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। এটি নির্মীত হলে সহজতর হয়ে উঠবে শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করবে। একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের জেলা উপজেলা শহরের সাথে তাদের কষ্ট করে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। ব্রিজ না থাকায় জনকল্যাণের সেতুটিই এখন চরম জনদুর্ভোগের কারণ। জানা যায়, এলাকাবাসীর চাহিদার কথা বিবেচনায় প্রায় তিন বছর পূর্বে খালের উপর ৬৬মিটার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের পর প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি প্রক্কোলন মূল্যে তারেক নামে এক ঠিকাদার কাজটি বুঝে নেন। কাজ শুরু করার পর একেত মহামারীর প্রাদুর্ভাব পাশাপাশি খালের উপর ব্রিজটি দীর্ঘ লম্বা হওয়ায় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পরে। এলাকাবাসী ৬৬ মিটার না হয়ে ৩৫-৪০ মিটার করার দাবি তুলে প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত জমির মালিক ও স্থানীয়দের সাথে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের দেন দরবার করেও সমাধানে না আসায় দুই বছর অপেক্ষার পর কর্তৃপক্ষ বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার উর্দতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি ছোট করার লক্ষ্যে পোনরায় পরিদর্শন করেন। অচিরেই সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করার আশ্বাস ও দিয়েছেন। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই স্থানে এত বড় সেতু নির্মাণে গ্রামীণ সড়কে ব্যাগাত ঘটবে। ৩০ থেকে ৩৫ মিটার হলেই চলবে। এটার জন্য কেন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ৬৬ মিটার না হয়ে ৩৫-৪০ মিটার করার দাবি তুলে প্রতিবাদ করি। খালের উপর আমাদের জমির রয়েছে। তার পরেও জনস্বার্থে আমরা দিতে রাজি তবে ছোট হলে সমস্যা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, প্রায় ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শামীম ইকবাল মুন্না সাংবাদিকদের বলেন ,গত বৃহস্পতিবার উর্দতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি ছোট করার লক্ষ্যে পোনরায় পরিদর্শন করেন। দ্রুত নির্মাণের জন্য অচিরেই দরপত্র আহ্বান করাসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করা হবে।
×