ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাধবপুরে শিল্পের দুষিত বর্জ্যরে পানিতে নদী নালার পানি কালো

প্রকাশিত: ১৮:০২, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

মাধবপুরে শিল্পের দুষিত বর্জ্যরে পানিতে নদী নালার পানি কালো

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাধবপুর ॥ মাধবপুর উপজেলার শিল্পের দুষিত বজ্যের্র পানিতে বিভিন্ন নদী, নালা ও ছড়ার পানি কালো হয়ে গেছে। শিল্প কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় শিল্পের বর্জ্যরে পানি নদী নালার পানির সঙ্গে মিশে ভাটি এলাকায় প্রভাবিত হয়ে জলজ উদ্ভিদ, জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। কৃষকরা পড়েছে বড় দুশ্চিন্তায়। কৃষকরা নদী নালার পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু এখন দুষিত কালো পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ হবে কিনা এ নিয়ে শংকায় আছে। মাধবপুর কৃষি বিভাগ বলছে নদীনালার পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ হচ্ছে সস্তা ও পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু এখন মাধবপুর উপজেলার উজান এলাকায় বড় বড় শিল্প কারখানা স্থাপন হওয়ায় শিল্পবর্জ্য বিভিন্ন নদীনালা দিয়ে প্রভাবিত হয়ে পানি দুষিত হয়ে যাচ্ছে। এখন দুষিত পানি দিয়ে কৃষকরা বোরো চাষাবাদ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। একারনে ভ’গর্ভস্থ পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করতে বেশি আগ্রহী। পরিবেশ নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটি শিল্প কারখানায় শিল্পবর্জ্য শোধনের জন্য নিজস্ব শোধনাগার থাকার কথা। কিন্তু মাধবপুরে শিল্প কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার নেই। স্থানীয় কৃষকরা জানান, মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, শাহপুর,জগদীশপুর এলাকায় অর্ধ শতাধিক বৃহৎ শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব শিল্প কারখানা দুষিত বর্জ্য ছোট ছোট নদীনালা ছড়া দিয়ে প্রভাবিত হওয়ার কারনে ভাটি এলাকার বাঘাসুরা,রতনপুর,ছাতিয়াইন,শিমুলঘর, খড়কি, খাটুরা, বেজুড়া,বুল্লা, মিরনগর, গোয়ালনগর,আদাঐর, খুটানিয়া দিঘীর পাড়, সুলতানপুর গ্রামে নদীনালা ছড়ার তীরবর্তী কৃষকরা এখন কালো পানির ভয়ে বোরো চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মামুন আল আহসান জানান, মাধবপুর বোরো চাষাবাদে একটি উর্বর জনপদ। কিন্তু অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে শিল্পবর্জ্যে কৃষি জমি ও নদীনালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিল্পবর্জ্য নদীনালায় মিশে পানি এখন কালো হয়ে গেছে। হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, যে সব শিল্প কারখানার বর্জ্যে পরিবেশ ও নদীনালার ক্ষতি হয় তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
×