ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

বাগেরহাটে মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টর, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে উদয়পুর ইউনিয়নের গাড়ফা বাজার। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে পাকা সড়ক ও বসতবাড়ি। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে মধুমতি নদীর গাড়ফা, গিরিশ নগর ও আস্তাইল এলাকার অন্তত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার তীরবর্তী জনপদ প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মোল্লাহাট বাজারের পুরাতন ফেরীঘাটের পশ্চিম পাশে মধুমতি নদী তীরবর্তী পাকারাস্তাসহ বেশকিছু এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র হুমকিতে রয়েছে দোকান পাট ও মিল কারখানা। এলাকাবাসী ভাঙ্গন ঠেকাতে বাঁশ/কাঠ দিয়ে প্রনান্ত চেষ্টা করছেন। তবুও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা। দ্রুত এই নদী ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে হয়তো এ বাজারের অস্তিত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান এস.কে হায়দার মামুন জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মধুমতি নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে আমরা কাঠ/বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা চালিয়েছি, তাও ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মোল্লাহাট শহর রাক্ষাবাঁধ, গিরিশ নগর, ও আস্তাইল এলাকার বসত-বাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই ভাঙ্গন রোধে তিনি দ্রুত নদী শাসন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, মধুমতি নদীর ৩ হাজার ৪০০ মিটার এলাকা ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডিপিপি প্রস্তুত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন কাজ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন নেওয়া হচ্ছে।’
×