ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী আজ পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

প্রধানমন্ত্রী আজ পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া পুলিশ সপ্তাহে অন্তত ২০টি সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো হয়েছিল। এসবের মধ্যে দুটি দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়। কোন কোনটি আংশিক বাস্তবায়িত হয়। বেশিরভাগই গত দুই বছরে বাস্তবায়ন হয়নি। আলোর মুখ দেখেনি জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো। তাই এ দাবিসহ একগুচ্ছ দাবি জানাবে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আজ রবিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ। সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্যারেডে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন। করোনার কারণে এবারের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে। উর্ধতন পুলিশ অফিসারগণের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলনটি ২৭ তারিখ সন্ধ্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সবশেষ পুলিশ সপ্তাহ পালিত হয়েছে। করোনার কারণে পরের দুই বছর পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয়নি। করোনার প্রকোপের মধ্য দিয়েই আজ পুলিশ সপ্তাহ পালিত হতে যাচ্ছে। তবে প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের দরবার বসলেও করোনার কারণে এবার তা বাতিল করা হয়েছে। তাই পুলিশের দাবিদাওয়া লিখিতভাবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। তবে দরবার হল না বসলেও পুরনোসহ নতুন কিছু দাবিদাওয়া নির্ধারণ করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, এবার তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকেই পুলিশের জন্য আরেকটি অধিদফতর। পৃথক পুলিশ অধিদফতর গঠন করা হলে আইজিপি মন্ত্রণালয়ে বসেই সিনিয়র সচিবের ভূমিকা পালন করতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানও অর্থ মন্ত্রণালয়ে বসে সিনিয়র সচিবের ভূমিকা পালন করেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান যদি মন্ত্রণালয় ও নিজ দফতরে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে আইজিপি কেন পারবেন না। এছাড়া পুলিশ মেডিক্যাল কোর গঠন, সুপার নিউমারারি পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত অস্ত্রসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা, ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঝুঁকিভাতা দেয়া, সব সদস্যের জন্য বিশেষ ভাতা চালুসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরবে পুলিশ। পুলিশে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার জনবল রয়েছে। এই বিষয়টি তাদের জোরালো দাবি থাকবে পুলিশ সপ্তাহে। তবে বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। সে লক্ষ্যেই পুলিশের গেলো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শারীরিক গঠন, উচ্চতাসহ অন্যান্য দিক দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
×