ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামি

এখনো স্বাভাবিক হয়নি টোঙ্গা

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২২ জানুয়ারি ২০২২

এখনো স্বাভাবিক হয়নি টোঙ্গা

অনলাইন ডেস্ক ॥ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পানির নিচে থাকা একটি আগ্নেয়গিরির বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ছাই ও পরবর্তীতে সৃষ্ট সুনামিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপপুঞ্জ টোঙ্গার পরিস্থিতি এক সপ্তাহ পরও স্বাভাবিক হয়নি। দেশটিতে এখনও আগ্নেয় ছাই ও সুনামিতে সৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজ চলছে। শনিবার দেশটির রাজধানী নুকু’য়ালোফায় মানি সার্ভিসগুলো ফের চালু করার সম্ভব হয়, স্থানীয় বাসিন্দারা লাইন ধরে সীমিত সময়ের জন্য চালু থাকা এ সেবা নেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। টোঙ্গার সরকার জানিয়েছে, পানীয় জলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার একটি টিএম ইতোমধ্যেই বাসিন্দাদের মধ্যে ৬০ হাজার লিটার পানি বিতরণ করেছে। ডেসালিনেশন প্ল্যান্ট আছে, নিউজিল্যান্ড নৌবাহিনীর এমন একটি জাহাজ শুক্রবার দেশটিতে পৌঁছেছে। টোঙ্গার বন্দরে অবস্থানরত জাহাজটি সাগরের পানি নেওয়া শুরু করেছে, এটি দৈনিক ৭০ হাজার লিটার সুপেয় পানি উৎপাদন করতে পারবে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এ দ্বীপপুঞ্জটিতে সুনামির সময় ১৫ মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। এতে বাইরের দিকের যে দ্বীপগুলোর বাসিন্দারা বাড়িঘর হারিয়েছেন তাদের মূল দ্বীপ টোঙ্গাটাপুতে আনা হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রীর দফতর; এর কারণ হিসেবে ওই দ্বীপগুলোতে খাবার ও পানির অভাবের কথা বলেছে তারা। আগ্নেয় ছাই ও সুনামিতে জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর স্যাটেলাইট ও রেডিও লিঙ্কস সীমিত থাকায় আন্তঃদ্বীপগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ‘বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ’ হয়ে আছে বলে বিবৃতিতে বলেছে তারা। হা’য়াপাই দ্বীপপুঞ্জে সুনামির আঘাতে নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষকে এরমধ্যে কবর দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে মৃত্যুর সংখ্যা তিন জন বলে জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ব্রিটেন থেকে রওনা হওয়া আরও কয়েকটি ত্রাণবাহী জাহাজ টোঙ্গার পথে রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়া থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে দুটি ফ্লাইট আসার পর শনিবার জাপান ও নিউ জিল্যান্ড থেকে আরও দুটি ত্রাণবাহী ফ্লাইট এসে হাজির হয়েছে।
×