ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিরামপুরে উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল আবাদে ঝুঁকছে কৃষক

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২২ জানুয়ারি ২০২২

বিরামপুরে উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল আবাদে ঝুঁকছে কৃষক

সংবাদদাতা, বিরামপুর, দিনাজপুর ॥ শস্য ভান্ডার খ্যাত দিনাজপুর ধানের জেলা হিসাবে পরিচিত। কিন্ত গতানুগতিক ধান চাষের পাশাপাশি এখন বিরামপুর এলাকার কৃষকরা উচ্চ মূল্যের ফল ও ফসল আবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। লাভ জনক শাক-সবজি থেকে শুরু করে আবাদ হচ্ছে আম, লিচু, পেয়ারা, কলা, কুল, মাল্টা ও ড্রাগনসহ নানা জাতের ফল। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এলাকায় শুধু ধান ও সামান্য শবজি চাষ হলেও কয়েক বছরের ব্যবধানে বিরামপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে নানা জাতের ফল ফসল আবাদ। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে ১১০ হেক্টর জমিতে আম, ১০০ হেক্টর জমিতে লিচু, ৪১ হেক্টর জমিতে পেয়ারা, ৯০ হেক্টর জমিতে কলা, ২০ হেক্টর জমিতে কুল, ৭ হেক্টর জমিতে মাল্টা, ৪ হেক্টর জমিতে ড্রাগন এবং ১২৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ মূল্যের শবজি চাষ হচ্ছে। উপজেলার হরেকৃষ্টপুর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান জানান, তিনি ধান চাষের পাশাপাশি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে শবজি চাষ করেন। শবজি চাষে তিনি ধানের চেয়ে বেশি আয় করে থাকেন। শবজি আবাদ থেকে তিনি সব খরচ বাদে বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। একইর মঙ্গলপুর গ্রামের চাষী সাখাওয়াত হোসেন মিনু জানান, তিনি মাল্টা, ড্রাগন ও লিচু বাগান গড়ে তুলেছেন। এতে তিনি অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, গতানুগতিক চাষাবাদের পাশাপাশি চাষীরা এখন উচ্চ মূল্যের ফল-ফসল আবাদের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। এতে একেক জনের সাফল্য দেখে অন্যরাও নতুন নতুন বাগান গড়ে তুলছেন। কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে উচ্চ মূল্যের ফল-ফসলের আবাদ।
×