ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়া বুক অব রেকর্ডের স্বীকৃতি পেল নারায়ণগঞ্জের ‘টিম খোরশেদ’

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২১ জানুয়ারি ২০২২

এশিয়া বুক অব রেকর্ডের স্বীকৃতি পেল নারায়ণগঞ্জের ‘টিম খোরশেদ’

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ করোনা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দাফন-সৎকার, অক্সিজেন, প্লাজমা, এম্বুলেন্স ও টেলিমেডিসিন সার্পোট এবং খাদ্য, কর্ম ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করায় এশিয়া বুক অব রেকর্ডের স্বীকৃতি লাভ করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বের "টিম খোরশেদ"। ভারতের হায়দ্রাবাদে অবস্থিত এশিয়া বুক অব রেকর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো সনদপত্র, মেডেল ও স্যুভেনির বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে টিম খোরশেদের কাছে পৌছে। শুক্রবার বিষয়টি গণমাধ্যমে অবহিত করা হয়। টিম খোরশেদের টিম লিডার কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ অর্জনকে সকল টিম মেম্বারদের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, এই স্বীকৃতি আমাদের সকল স্বেচ্ছাসেবকদের ত্যাগের ফসল ও আল্লাহর রহমত। আমরা আমাদের ওয়াদা মোতাবেক করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিম খোরশেদ সক্রিয় থাকবে ইনশাআল্লাহ। টিম খোরশেদের কার্যক্রম সম্পর্কে টিম লিডার খোরশেদ জানান, করোনা নামক মরণঘাতী মহামারী দামামা বাজিয়ে সারা বিশ^কে টালমাতাল কওে ২০২০ সালের ৮ র্মাচ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ও সনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। সারা শহরের পাশাপাশি দেশব্যাপি এক অজানা মৃত্যু ভয় শংকিত করে তুলে সবাইকে। তিনি বলেন, মৃত্যু ভয়ের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবো। পরে ২০২০ সালের ৯ র্মাচ কাজ শুরু করি। প্রথমেই আমরা করোনা থেকে বাচাঁর জন্য মানুষকে সচেতন করার জন্য লিফলেট ছাপিয়ে সকল স্থানে বিলি করি। সার্জিক্যাল মাস্কও বিতরণ করি। এভাবেই আমাদের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে আমরা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ১০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে টেলিমেডিসিন সেবা শুরু করি। জুন ২০২০ এর শুরু থেকে টিম খোরশেদেও কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হয়। আমাদের টিমে যুক্ত হয় ফ্রী অক্সিজেন,ফ্রী এম্বুলেন্স ও ফ্রী প্লাজমা ডোনেশন প্রক্রিয়া। অদ্যবদি আমরা ৬৩০ জন মানুষকে ফ্রী অক্সিজেন সাপোর্ট, ১০৬ জনকে ফ্রী এম্বুলেন্স সাপোর্ট ও ১১২ জনকে প্লাজমা ডোনেসন, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি এবং ২৮৫ জনের দাফন ও সৎকার সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি ৯ হাজার পরিবারকে কয়েক দফা খাদ্য সহায়তা দিতে পেরেছি। যা অংকের হিসাবে প্রায় ১৭০ টনের উপরে। আমরা লকডাউন চলাকালে দরিদ্র মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য পক্ষকাল ব্যাপী প্রতিদিন এক হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে তিন কেজি করে সবজী ও পরিবার প্রতি ৬টি করে ৪০ হাজার ডিম বিতরণ করেছি। আমরা করেনায় কাজ হারানো মানুষকে সেলাই মেশিন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করিএবং মধ্যবিত্ত্বের জন্য ৩০ ভাগ ডিসকাউন্টে পন্য সরবরাহ করেছি।
×