ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আত্মসাত ॥ কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা কারাগারে

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২১ জানুয়ারি ২০২২

২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আত্মসাত ॥ কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুই কর্মকর্তাকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এই দুই কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের মামলায় অভিযুক্ত এ দুই আসামি হলেন- কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম মোল্লা এবং রাজস্ব কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এই দুজনের মধ্যে প্রথমজন চাকরি থেকে বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। আর অপরজন এখন অবসরে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী আমদানি করেন মেসার্স রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক নজরুল ইসলাম। বন্দর থেকে পণ্য খালাস ও শুল্কায়নের দায়িত্ব পালন করেন সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল হোসেন মজুমদার। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে চালানটির খালাস প্রক্রিয়ায় ঘটে জালিয়াতির ঘটনা। আমদানিকারক নজরুল ইসলামের অনুমতি ছাড়াই ক্লিয়ারিং এজেন্ট এ সংক্রান্ত সকল নথিপত্র গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট শিপিং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। বনলতা শিপিং নামের এ এজেন্সির মালিক আবদুল মান্নান কাস্টম সার্ভারে এইচএস কোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে। এইচএস কোড রয়েছে এমন চারটি ইলেক্ট্র্রনিকস আইটেম ঘোষণার পরিবর্তে চালানটিকে ‘ইলেক্ট্র্রনিকস কম্পোনেন্টস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। দুদক জানায়, যোগসাজশের মাধ্যমে আত্মসাত হয়েছে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা সরকারী রাজস্ব। মামলায় কাস্টমসের দ্ইু রাজস্ব কর্মকর্তাসহ মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি হলেন নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মোঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী। কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা উচ্চ আদালত থেকে জামিন চেয়েছিলেন। তবে হাইকোর্ট তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করে। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক সে আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। তবে মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
×