ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওএমএসে অনিয়ম ৬ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ২৩:২০, ২১ জানুয়ারি ২০২২

ওএমএসে অনিয়ম ৬ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঢাকা মহানগরে ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়মের জন্য ৬ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ডিলারশীপ বাতিলসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরের ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনের লক্ষ্যে পাঁচটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই টিম পৃথকভাবে আকস্মিক তদন্তে গিয়ে নানা অনিয়ম দেখতে পায়। তার প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জুরাইনের ডিলার মোঃ শাকিলের ওএমএস পরিচালনার সময় বুধবার সেই এলাকায় ভিজিলেন্স টিম তাৎক্ষণিক তদন্তে যায়। তদন্তে ট্রাকসেলে ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় ৭০০ কেজি চাল পাওয়া যায়নি। এটি ওএমএস নীতিমালা, ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ১২(খ) এবং অঙ্গীকারনামার ৪, ৫, ৬, ৮ ও ১০ এ উল্লেখিত শর্তভঙ্গ হয়েছে। এই চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। তার এই অপরাধে ডিলারশীপ বাতিলসহ ডিলারের জামানত বাজেয়াফত এবং প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর টাউনহলের ডিলারের কাছে ১০ চালের বস্তা এবং ১২টি আটার খালি বস্তা পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই ডিলারের পক্ষে যারা চাল আটা বিক্রি করছিল তাদের কাছে ডিলারের পক্ষ থেকে কোন অথোরাইজেশন পাওয়া যায়নি। এছাড়া তদারকি কার্যক্রমে শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রেশনিং এরিয়া-৬ (মোহাম্মদপুর) এলাকার ওএমএস ডিলার মহিউদ্দিন কবিরাজ এবং ওএমএস ডিলার মরিয়ম বেগমের ট্রাকসেল পরিদর্শনকালে ট্রাক ও দোকানে মজুদ রেজিস্টার ও পরিদর্শন রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। বিতরণকৃত সিল অস্পষ্ট ছিল এবং সাইনবোর্ডের বেহাল দশা ছিল। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া স্থগিত রাখাসহ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্য চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার ডিলার শাহজাহান বরকাউলের ট্রাক পরিদর্শনকালে অবিক্রীত বস্তা গণনা করার সময় বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা ৯টি আটাভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডিলারের পক্ষে যারা চাল, আটা বিক্রি করছিল তাদের কাছে ডিলারের কোন অথোরাইজেশন লেটার পাওয়া যায়নি। ডিলার ও তদারকি কর্মকর্তার যোগসাজশে এ ধরনের অপকর্ম করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কমলাপুর এলাকার ডিলার আয়ুব খানের দোকানে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ১৩ বস্তায় ৩৯০ কেজি এবং ৭ বস্তায় ৩৫০ কেজি আটার ঘাটতি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এজিবি কলোনি এলাকার এরিয়া রেশনিং কর্মকর্তা জয়কৃষ্ণ গুপ্ত এবং তদারকি কর্মচারী আহসান হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভিজিলেন্স টিম।
×