ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমির ক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ হচ্ছে

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২০ জানুয়ারি ২০২২

জমির ক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ হচ্ছে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২১’ এর খসড়া সব অংশীজনের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে বলেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি আমমোক্তার নামার মাধ্যমে যেসব প্রতারণা, জালিয়াতি ও দুর্নীতি হচ্ছে- তা প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২২’ এ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ মামলায় (এলএ কেস) পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যবস্থা বাতিল করার ব্যাপারটি বিবেচনাধীন আছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের সময় পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ এটার মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তির দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এজন্য বিশেষ ক্ষেত্র ব্যতীত, সাধারণভাবে এলএ কেসে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। ডিসিদের ভূমিমন্ত্রী বলেন, এই বিবেচনাধীন ব্যবস্থায় বিশেষ ক্ষেত্র- যেমন বিদেশে বসবাসরত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে পারবেন। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া যাবে। মন্ত্রী বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠক শেষে সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় এনে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২১’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ভূমি দস্যুতা রোধে এই আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কৃষিজমি সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করা ‘ভূমি ব্যবহার আইন-২০২১’ এর খসড়া তৈরিও প্রায় শেষের দিকে। বৈঠক সূত্র জানায়, ভূমিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের খাস জমি উদ্ধার এবং খাদ্য নিরাপত্তায় তিন ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেন। এক স্থানে বিভিন্ন দপ্তরের জন্য ঊর্ধ্বমুখী সমন্বিত সরকারি অফিস করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনটি ভূমিমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন। ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তরগুলো সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে এসে কাজ করতে হবে।
×