ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় সেনাবাহিনী সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মেম্বার প্রার্থী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ২০ জানুয়ারি ২০২২

গাইবান্ধায় সেনাবাহিনী সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মেম্বার প্রার্থী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধায় সেনাবাহিনী সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মেম্বার প্রার্থী গ্রেফতার।গ্রেফতারকৃত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনের ভূয়া পরিচয় দেয়া প্রতারক আবদুর রাজ্জাক(৩৫)। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনের ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আবদুর রাজ্জাক (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম। আবদুর রাজ্জাক সাদুল্লাপুর উপজেলার ৬নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের (সিলিং ফ্যান) প্রতীকে সদস্য পদ (মেম্বার) প্রার্থী। তিনি ওই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খয়বর হোসেনের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। নিজের নাম গোপন করে ক্যাপ্টেন সাগর হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও ইমোসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের সাথে কথা বলে প্রতারণা করতেন রাজ্জাক। সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নজরুল ইসলাম প্রধানের জর্ডান প্রবাসী কন্যা উম্মে জাহানের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় আব্দুর রজ্জাকের। পরিচয়ের পর থেকেই আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে ক্যাপ্টেন সাগর পরিচয়ে উম্মে জাহানের সঙ্গে নানা বিষয়ে নিয়মিত কথা বলেন। এক পর্য়ায়ে উম্মে জাহানের ভাইকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় রাজ্জাক। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি প্রতারণার মামলা করেন উম্মে জাহানের বাবা নজরুল ইসলাম প্রধান। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ধাপেরহাট থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারের পর আব্দুর রাজ্জাককে প্রতারণার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তার কাছে আর কেউ প্রতারণার শিকার হয়েছেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
×