ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৌশলীর উপড়ে ফেলা তরমুজ খেত পরিদর্শন করলেন ইউএনও

প্রকাশিত: ০২:০৯, ২০ জানুয়ারি ২০২২

প্রকৌশলীর উপড়ে ফেলা তরমুজ খেত পরিদর্শন করলেন ইউএনও

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ ফলন্ত ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলায় ক্ষতির শিকার পশ্চিম চাপলী গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেনের খেত পরিদর্শন করলেন কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ। বুধবার দুপুরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে ওই দুই কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করবেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ১৬ জানুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ওই গাছগুলো উপড়ে ফেলেন। বেড়িবাঁধের স্লোপের লাগানো ঘাসের ক্ষতি করে তরমুজের আবাদ করায় ঘাস নষ্ট করার অজুহাতে দেলোয়ারের ফলন ধরা ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় দেলোয়ার হাত-পা ধরে এক মাসের সময় চেয়েছিলেন। যাতে ফলন পাকলে বিক্রি করে উপার্জন করতে পারত। কৃষক দেলোয়ার খলিফা জানান, প্রায় দুই মাস আগে গঙ্গামতি বন বিভাগের বিট অফিসার মোশাররফ হোসেনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এই তরমুজের আবাদ করেছেন। এ জন্য তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। দেলোয়ার প্রায় ১৫ হাজার তরমুজ গাছ লাগান। যাতে ফুল-ফল ধরেছে। এনিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠসহ একাধিক গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ওই বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে বন বিভাগকে ডুমুর গাছ লাগিয়ে ঘাস রক্ষার জন্য হস্তান্তর করা হয় বলেও ওই প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম দাবি করেন। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পরে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছি। এখানে কৃষক দেলোয়ারের চাষ করা যে তরমুজ গাছগুলো উপরে ফেলা হয়েছে এটা আসলে ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম যে কৃষক দেলোয়ার খলিফার প্রায় আড়াই মাস আগে রোপণ করা তরমুজ গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের মাঠ প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম উপড়ে ফেলেছেন।
×