ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথক ছুঁড়ে মারায় চালক আহত

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথক ছুঁড়ে মারায় চালক আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাটে ট্রেনের ইঞ্জিনে পাথর ছুড়ে মারায় চালক লিটন মিয়া (৩৫) বুকে ও ঠোঁটে মুখে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছে। অল্পের জন্য চালকের প্রাণ ও ট্রেন যাত্রীরা বড়ধরণের দূর্ঘঘটনা রক্ষা পেয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।এই ঘটনায় প্রমাণ করে ট্রেনের চালক কর্মচারি ও ট্রেন যাত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এধরণের ঘটনা একমাসে কয়েক বার এই রুমে ঘটেছে। লালমনিরহাট রইচবাগ রেলওয়ে ষ্টেশনের অদুরে আজ বুধবার সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে যাত্রবাহী লোকাল ৪৫৫ নম্বর ট্রেনের ইঞ্জিনে ঢিল ছুড়ে মারায় ট্রেনটির চালক মোঃ লিটন মিয়া (৩৫) আহত হয়। এসময় ট্রেনি আকর্ষিকভাবে থামাতে বাধ্য হয়। পরে রেলওয়ে ট্রেনটির পরিচালক, সহকারি চালক, কর্মচারি ও যাত্রীরা এসে চালকের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে । একই সাথে ট্রেনটি নিয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে আসে। এই ঘটনায় রেলওয়েতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনটি বড়ধরণের দূর্ঘটনা হতে রক্ষা পেয়েছে। আহত ট্রেন চালক মোঃ লিটন মিয়া জানান, রইচবাগ রেলওয়ে ষ্টেশন পাড় হয়ে আসার পর ফাঁকা জায়গায় রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কেউ একজন ইঞ্চিন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েমারে। পাথরটি ইঞ্জিনের দরজার কাঁচের গ্লাস ভেঙ্গে তাকে এসে তার বুকে ও মুখে আঘাত করে। এতে তিনি প্রচন্ড বুকে আঘাত পায়। ও মুখের ঠোঁটে আগাততে কেটে যায়। ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ি। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালানো খুবেই কষ্টের নিজের ও যাত্রীদের প্রাণহানির থাকে। যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ৭ টি কোচে প্রায় ৪/ ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল। রেলওয়ে লালমনিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলী, ঘটনাস্থলে গিয়ে জনসাধারণদের সাথে কাউন্সিলিং করছেন বলে জানা গেছে। ওসি জানায়, এ বিষয়ে এখনো পযর্ন্ত কোন লিখিত অভিযোগ চালক বা রেলওয়ে কৃপক্ষের কাছ হতে পাইনি। তারপরেও রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবণ করে পদক্ষেপ নিবে। এখানে রেলওয়ে ও রেলওয়ে যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। ট্রেন যাত্রী মোছাঃ রহিম মিয়া জানান, যাত্রীবাহী ট্রেন টি মাত্র দুই ঘন্টায় লালমনিরহাট হতে বুড়িমারী যাওয়া আসা করা যায়। ভাড়াও মাত্র ৪৫ টাকা। সময় মেনে চলে। এই ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রী সরকারি কর্মচারি কর্মকর্তা। তারা নিয়মিত ট্রেনে যাতাযাত করে অফিস করেন। কিন্তু বাসে গেলে সময় ও ভাড়ার দ্বিগুন লাগে। বাসের স্টাফ বা মালিকরা এই ট্রেনটির কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে কিনা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
×