ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনা আক্রান্তের ২০ ভাগই ওমিক্রনে

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

দেশে করোনা আক্রান্তের ২০ ভাগই ওমিক্রনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের ২০ শতাংশই বর্তমানে ওমিক্রন ধরনের বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, চলতি মাসে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কোভিড-১১ এর জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশী কোভিড-১৯ জেনোম ডাটাবেজ তৈরি করা। এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউর চলমান গবেষণার ৬ মাস ১৫ দিনের ফলাফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব। গত বছরের ২৯ জুন থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশব্যাপী রোগীদের ওপর এ গবেষণা করা হয়। গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমনÑ ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল। মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ডেল্টা ধরন। ১ শতাংশ হচ্ছে বেটা ধরন দ্বারা সংক্রমণ, ১ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে মরিসাস অথবা নাইজেরিয়ান ধরন। ডেল্টা ধরনের চেয়ে ওমিক্রন ধরন অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান। ওমিক্রন ধরন ভাইরাসের জেনেটিক কোড এ ডেল্টা ধরনের চেয়ে বেশি ডিলিশন মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। আমাদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোন কোন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া ছিল।
×