ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষার্থীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস দিলেন

উত্তাল শাবি ॥ ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

উত্তাল শাবি ॥ ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বাসভবন ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ টানা চতুর্থদিনের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দেশ দিলেও হল ত্যাগ করছেন না ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গেটের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশ সদস্যদের ফুল দিতে দেখা যায়। আন্দোলনরতরা জানান, পুলিশ কোন ধরনের লাঠিচার্জ এমনকি গুলি করলেও করতে পারে; তাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে। এরই স্মারক হিসেবে তারা পুলিশকে ফুল দিচ্ছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে শত শত ছাত্রছাত্রী অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এসময় তারা অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টোরিয়াল কমিটি ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে শাবি। তারা ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা দেন। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পর সোমবার সকালে কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে দেখা গেছে। তারা মূলত আতঙ্ক থেকে হল ছেড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত থেকে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীদের কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর পরিস্থিতি হয়ে ওঠে পুরোপুরি ঘোলাটে। রবিবার দিনভর আন্দোলনে উত্তাল ছিল শাবি। এর মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। তাকে উদ্ধারে এ্যাকশনে যায় পুলিশ। এসময় তাদের রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। তখন ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, পুলিশ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীও আহত হন। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হয়ে শাবি উপাচার্য বসেন জরুরী সিন্ডিকেট সভায়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সোমবার (আজ) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা রবিবার প্রায় সারারাতই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর সোমবার সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয় শাবিতে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই আন্দোলনে শাবি এখন উত্তাল। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা একযোগে শাবির বঙ্গবন্ধু হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী (দ্বিতীয় ছাত্রী হল) হলে তালা লাগিয়ে দেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহপরান হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাউকেই হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দুপুরে বিভিন্ন হল থেকে কিছু শিক্ষার্থী বেরিয়ে গেছেন। নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা বেরিয়ে যান। কয়েক শিক্ষার্থী জানান, পরিস্থিতি যেভাবে ঘোলা হয়ে উঠেছে, পুলিশ ও ছাত্রলীগ যেভাবে মারমুখী অবস্থান নিয়েছে, তাতে ভয় ও আতঙ্ক থেকে তারা হল ছাড়ছেন। এদিকে, শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে বহিরাগত- উপাচার্য ॥ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরও যারা আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে তাদের অনেকেই বহিরাগত বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বহিরাগতদের ইন্ধনে এখন আন্দোলন চলছে। রবিবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা প্রবেশ করেছে বলে আমার কাছে তথ্য আছে। তবে উপাচার্যের এমন দাবি নাকচ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিথ্যাচার করছেন উপাচার্য। ক্যাম্পাসে পুলিশ ছাড়া বহিরাগত কেউ নেই। সোমবার দুপুর ১টার দিকে নিজ বাসভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বহিরাগত ঢুকে পড়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। তাদের ইন্ধনে শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক ভাল। তারা প্রশাসনের প্রতি আস্থাশীল। আজকের আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। কারও ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা যাতে আর বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, রবিবারের যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। তাদের দাবি মেনে হল প্রভোস্টও পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের আরও যে দাবি রয়েছে সেগুলো আমি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। উপাচার্যের অভিযোগের বিষয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী বলেন, বারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিসি এমন কথা বলছেন। তারা (প্রশাসন) অভিযোগ করছে, বহিরাগতরা এসে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু সত্য হলো- পুলিশ ছাড়া কেউ গুলি চালায়নি। পুলিশের গুলিতেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। এখনে পুলিশ ছাড়া কেউ বহিরাগত নেই। পুলিশকে উপাচার্য ডেকে এনেছেন। উপাচার্যকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, তিনি একের পর এক মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। আমরা আর এই উপাচার্যকে এক মুহূর্ত চাই না। তাকে শাবি ছাড়াতে হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার সকালে মুক্তমঞ্চের সমাবেশ থেকে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। নানা স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন তারা। ঢাবি ঘৃণাস্তম্ভে শাবিপ্রবি উপাচার্যের কুশপুতুল ॥ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবস্থিত ঘৃণাস্তম্ভে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুতুল রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল। শাবিপ্রবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুশপুতুলটি স্থাপন করা হয়। সোমবার সংগঠনটির সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের পার্শ্ববর্তী ঘৃণাস্তম্ভে শাবিপ্রবি উপাচার্যের কুশপুতুলটি স্থাপন করা হয়। কুশপুতুলে লেখা হয়েছে, শাবিপ্রবিতে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নির্মম হামলার হোতা ভিসি ফরিদের পদত্যাগ দাবি করছি ও এহেন জঘন্য আচরণে তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। কর্মসূচীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাঈম হাসান হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন। রাবিতে মানববন্ধন ॥ স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে এ দাবি জানানো হয়। কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাম্পাসের যেকোন যৌক্তিক দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হলো গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তা চর্চার জায়গা। এমন একটি স্থানে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এমন হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন রাবি শাখা নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হোসেন, গণিত বিভাগের ছাত্র রেজাউল ইসলাম, ফলিত রসায়ন বিভাগের ছাত্র মোঃ রাকিব, নাঈম শেখ। শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ছাত্র পরিষদের ॥ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সংগঠনটি তাকে ‘ছাত্র মারা উপাচার্য’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে। খবর অনলাইনের। সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের সড়কে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। কুশপুত্তলিকা দাহ করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে উপাচার্য সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে পারেন, তিনি কোন গ্রহণযোগ্য শিক্ষক হতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করছি। ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশা করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। উপাচার্য ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং উপাচার্যের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। খবর অনলাইনের। সোমবার রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন প্রতিনিধি ইয়াসির সরকার, সাব্বির আহমেদ, তানহা তাহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) শফিউল আলম জুয়েল। শিক্ষার্থীদের তিন প্রতিনিধি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে ফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন বলে জানান।
×