ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাপড় কাঁচার মেশিন

প্রকাশিত: ০০:০৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

কাপড় কাঁচার মেশিন

আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশ এক অদম্য যাত্রাপথে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তিকে নিত্য জীবনের অনুষঙ্গ করতে সরকার প্রধানসহ সারাদেশ একযোগে কাজ করে চলেছে। বৈজ্ঞানিক বিশ্বে সময়ের মূল্য সব থেকে বেশি। সেখানে যান্ত্রিক সভ্যতাই অগ্রগামী হয়ে দেশকে সামনের দিকে ধাবিত করতে পারে। বস্তুত আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সড়ক পার করছি। সঙ্গত কারণে প্রযুক্তির বিশ্বে আমাদের চলমান জীবন এক আলোকিত অধ্যায়কে সর্বমানুষের মাঝে নিয়ে আসছে। দৈনন্দিন জীবনের সার্বিক কর্মকান্ডে যত তাড়াতাড়ি এবং সহজেই তা সম্পাদন করতে পারে ততই সে অগ্রগামী বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারদর্শী হবে। সভ্যতার মধ্যগগণ বিশ্বময় আলোবিকিরণ করছে। সেটা জ্ঞানচর্চার সমৃদ্ধ আলয় থেকে উচ্চতর গবেষণা ছাড়াও প্রতিদিনের কর্মযোগেরও নিয়ামক শক্তি। উন্নয়নের দুরন্ত অভিযাত্রায় নারী-পুরুষ কেউই আর ঘরে বসে থাকছে না। বিভিন্ন পেশায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলা গড়ার প্রক্রিয়ায় শামিল হতে বিন্দুমাত্র ভাবছেও না। তার ওপর ছোট্ট সংসারটির দায়-দায়িত্বও কম নয়। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে পেশাগত জীবনকে সচল রাখতে হয়। সেখানে প্রতিদিনের কর্মযোগে সময় এবং শ্রমও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন ছোট্ট গৃহের আঙ্গিনাটিও বিভিন্ন কাজকর্মের অনন্য যোগসাজশ। সেখানে রান্না-বান্না, ঘর পরিষ্কার করা ছাড়াও কাপড় কাঁচার জন্য সময় লাগে প্রচুর। শুধু কি সময়? কায়িক শ্রমও খাটাতে হয়। আবার কর্মস্থলে যাওয়ার তাড়াও থাকে। কিন্তু সময় মতো সব সামলাতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তির বিকল্প অন্য কিছু নেই। মূলত অপেক্ষাকৃত সচ্ছল প্রতিটি পরিবারেই জরুরী একটি কাপড় কাঁচার আধুনিক যন্ত্র। মেশিনে কাপড় দিয়ে পরিমাণ মতো ওয়াশিং পাউডার দিতে হয়। তার পর যদি মেশিন অটো হয় তাহলে সে নিজেই সময় নির্ধারণ করে কাপড় কাঁচতে শুরু করে। যদি ম্যানুয়াল হয় তাহলে ঝক্কি ঝামেলাও থাকে। যেমন প্রথমে পানির লাইন দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দেয়া আবশ্যক। পরবর্তীতে সময় নির্ধারণ করে নিজেকেই সব ঠিক করে দিতে হয়। আরও ঝামেলা থাকে পানি ড্রেন করে বের করে দেয়া লাগে। নিজের মতো করে বাঁচতে গেলে বার বার নজরদারি করতে হয়। সুতরাং সময় অপচয় হয় অনেক বেশি। লাভের লাভ হাতে তো কাঁচতে হচ্ছে না। বার বার খেয়াল রাখাটাও এক অসহনীয় ব্যাপার। সুতরাং পরামর্শ থাকবে অটো কাপড় কাঁচার মেশিন হলে তা অন করে অফিসে চলে যাওয়া যায় অথবা রাতে ঘুমিয়েও পড়া যায়। কাপড় কাঁচা শেষ হয়ে গেলে মেশিন নিজেই অফ হয়ে যায়। এর চাইতে স্বস্তিদায়ক আর কিছুই নয়। অনেকের ধারণা মেশিনে কাপড় ভাল পরিষ্কার হয় না। অনুমানটা একেবারে ভুল। বিছানার চাদর, কাঁথা থেকে আরম্ভ করে ভারি টাওয়েল এত ভাল সাফ হয় অনুমান করাও কঠিন। তাই ঘরের নারী যদি কর্মজীবী হন তাহলে বাসায় একটা ওয়াশিং মেশিন সত্যিই জরুরী। আবার তিনি যদি শুধু গৃহিণীই হন তারপরও একটা মেশিন থাকলে তার সময় এবং শ্রম দুটোই বাঁচে। সেটা তিনি অন্য কোন কাজে লাগাতে পারেন। সার্ফ এক্সেল, জেট এবং হুইল পাউডার দিয়ে মেশিনে কাপড় কাঁচলে সব থেকে ভাল হয়। দামও খুব একটা বেশি নয়। বিভিন্ন কোম্পানির অটো মেশিন ২০-৩০ হাজারের মধ্যে হয়ে যায়। সেটাও কাপড়ের ওজনের ওপর নির্ভর করে। ৬ কেজি কিংবা ৮ কেজি কাপড় ধারণ ক্ষমতা মেশিনের দামেরও তারতম্য হয়। তবে মেশিনে কাপড় কাঁচতে কোন ঝক্কি ঝামেলা থাকে না। দামও সহনীয় পর্যায়ে। উন্নত বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে আধুনিকতার শীর্ষে যাবে এমন প্রত্যয় সকলের। সুতরাং যান্ত্রিক সভ্যতাকে করায়ত্ত করাও সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার প্রযুক্তির সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে আপন মর্যাদায় নিজের অবস্থান শক্ত করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা ক্রমাগত তা অর্জনে সক্ষম হব। যাপিত জীবন প্রতিবেদক
×