ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্থপতি স্বর্ণকন্যা শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্থপতি স্বর্ণকন্যা শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এখন কেবল বাংলাদেশের মানুষের, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো বা দেশটির শত্রু-মিত্রদের কাছেই পরিচিত নন, তিনি এখন সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে অসাধারণভাবে পরিচিত। আমি তাঁকে কেবল বিশ্বের ক্ষমতাধর মানুষের তালিকার লোক হিসেবে দেখি না, তাঁকে দেখি বাংলার স্বর্ণকন্যা হিসেবে। সারা দুনিয়ার জন্য তিনি কি করেছেন সেটির চেয়ে জরুরী হচ্ছে তিনি তাঁর দেশের মানুষের জন্য কি করেছেন সেটি। তাঁর কাজের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কেনিয়াবাসীদের বাংলাদেশ থেকে শেখার কথা বলেছেন। তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে বলেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে এখন মহাকাব্য লেখা যায়। আমি শেখ হাসিনাকে কেবল প্রধানমন্ত্রী বা রাজনৈতিক দলের প্রধান কিংবা আমার নীতি, আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতীক হিসেবেই দেখি না, তাঁকে চিনি আমি অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে। আমার নিজের সঙ্গে, আমাদের ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসাধারণ সকল স্মৃতি আছে। এখন মাঝে মাঝে ভাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের দোতলায় প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ানো সেই মেয়েটির হাতে একদিন বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি করা বাঙালীর রাষ্ট্রটিকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুমহান দায়িত্ব পড়বে তা কি তখন একবারও ভেবেছি? লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘর-সংসার করে, লেখাপড়া চালিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার যে অসাধারণ মানুষটি আমাদের সহপাঠিনী ছিলেন এবং আমরা, এমনকি আমাদের শিক্ষকরাও যার আচার-আচরণে ভাবতেই পারতেন না যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা সেই মানুষটি এখনও সেদিনের মতোই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলেন, মুখের সেই হাসিটা এখনও অমলিন এবং আত্মপ্রত্যয়ে সুদৃঢ় এই মানুষটি এই জাতিকে খাদের নিচ থেকে তুলে আনার যে সুকঠিন দায়িত্ব পালন করছেন তার বিবরণ দুই-চারটি অনুচ্ছেদ বা কয়েক শ’ পাতায় তুলে ধরা যাবে না। আশা করি কেউ না কেউ তাঁর জীবনালেখ্য রচনা করে তাঁকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবেন। আমি নিজে যদি পারতাম তবে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু তাঁর কর্মকান্ড নিয়ে যে পরিমাণ গবেষণা করতে হবে তা হয়ত আমার দ্বারা হয়ে উঠবে না। শেখ হাসিনা বিষয়ক তথ্যাদি পাওয়া ও তাঁর ১৮ বছরের শাসনকালের রূপরেখা তুলে ধরা একটি অসাধ্য বিষয়। একই অবস্থা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে গবেষণা, তাঁর জীবনচর্চা ইত্যাদির সঙ্গে কোন বাঙালীর কোন প্রকারের তুলনা হবে না। এবার মুজিববর্ষে আমরা তাঁর সম্পর্কে আরও যেসব তথ্যাদি পাচ্ছি তাতে তিনি আরও অবিস্মরণীয় হয়ে উঠছেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ছাড়াও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার বিষয়গুলোর পরিধিও ব্যাপক। বাংলার বড় বড় রাজনীতিক যেমন শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী বা আরও অনেকের সঙ্গে আর যারই হোক শেখ হাসিনার তুলনা করার উপায় নেই। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ে সরকারপ্রধান থাকা ছাড়াও দেশটির যে সার্বিক রূপান্তর করেছেন তার কোন তুলনা কোথাও নেই। এক বাক্যে বলতে পারি লাঙ্গল-জোয়ালের বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বানিয়েছেন তিনি। আমার এই অক্ষমতা রয়েছে যে, তাঁর দৈনন্দিন জীবনের সকলটা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। অতীতের কিছু স্মৃতি এবং তৃতীয় সূত্রে পাওয়া কিছু তথ্যের বাইরেও গত চার বছরে সরকারে থেকে তাঁকে যতটা দেখেছি তাতে একটি মহাগ্রন্থ লিখেও সকল বিষয় যথাযথভাবে বিস্তারিত উপায়ে প্রকাশ করা যাবে না। তবুও একটি আলোচনার মুখবন্ধ হিসেবে আমি এটুকু বলতে চাই যে, পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশটাকেই খুন করে পাকিস্তান বানানোর যে জঘন্য ষড়যন্ত্র নগ্নভাবে করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে এই জাতির ঘুরে দাঁড়ানো বা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা কেবল অসম্ভব ছিল না, দুঃসাধ্য ছিল। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে, আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানানোর প্রতীকটি এখন তিনি। জাতি হিসেবে আমরা ভাগ্যবান যে, পঁচাত্তরের ঘাতকরা ১৫ আগস্ট নাগালের মধ্যে না পাওয়ার পরও ’৮১ সাল থেকে শেখ হাসিনাকে ২১ বার চেষ্টা করেও হত্যা করতে পারেনি। তবে শেখ হাসিনা যে তাদের পাকিস্তানীকরণ চক্রান্তের প্রধান শত্রু তা এরই মাঝে বারবার প্রমাণ হয়েছে। পঁচাত্তরে তাদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে হত্যা করা। আর এখন তাদের গর্হিত লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে হত্যা করা। ওরা বুঝেছে যে, বঙ্গবন্ধু বাঙালী শোষিত জনগোষ্ঠীর জন্য যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তাকে পিতার স্বপ্নের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছেন শেখ হাসিনা। তাদের এই গাত্রদাহ এমন যে, এখনও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও তাদের বাংলাদেশী দোসরদের ষড়যন্ত্র বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কুটচক্র বিস্তার করছে। আমার ভয়টা আরও একটু বাড়ছে এজন্য যে, প্রধানমন্ত্রী এখন প্রায়ই বাঙালী জাতির অগ্রগতির ইশতেহার হিসেবে জাতির পিতার দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা-বাকশালের কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার প্রথম কারণটি ছিল বাংলাদেশকে পকিস্তান বানানো এবং বাড়তি কারণ ছিল তিনি শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, তিনি চেয়েছিলেন একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, যাকে আমরা সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ বলি। তবে এই সমাজতন্ত্র চীন, রাশিয়ার সমাজতন্ত্র নয়, শেখ মুজিবের সমাজতন্ত্র। তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার দায়ে তাদের হত্যার তালিকায় ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদীদেরও চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে পারলে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী পাকিস্তানপন্থীদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদীরা বা তাদের সাম্রাজ্যবাদের দেশীয় সহযোগীরাও আরও যুক্ত হয়েছে। আমরা যখন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে তখন একটু হিসাব করতেই হচ্ছে যে, স্বাধীনতার পরপরই যে দেশটাকে তলাহীন ঝুড়ির দেশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই দেশটিকে কি অসাধারণ দক্ষতা ও দূরদর্শিতায় একটি উন্নয়নমুখী দেশে রূপান্তরের পথে যাত্রা শুরু করিয়েছিলেন। ভাবুন তাঁর হাতে আইটিইউ-ইউপিইউ-এর সদস্যপদ লাভের কথা। স্মরণ করুন ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন তিনি বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধন করেছিলেন। কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, ২৫ বিঘা জমির খাজনা মওকুফ, ১০০ বিঘা জমির সিলিং নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। তবে একটি কথা বলতেই হবে যে, জাতির পিতা সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী ঘোষণা করে দেশটির প্রকৃত গন্তব্য নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন। বস্তুত তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। যারা মনে করেন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, রোবটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি বা পঞ্চম-ষষ্ঠ বিপ্লব তারা ভুল করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা- প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্নটা এই জাতিকে দিয়ে গেছেন। যদি খুব সরলভাবেও আমরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে না পারা বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞানমনস্ক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার বীজটা বঙ্গবন্ধুরই বপন করা। তিনি কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে দেশটাকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি শিল্পায়নেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সূচনাও তাঁর হাতেই। ভাবুন তো আমরা যে স্যাটেলাইট ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করেছি তার উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু সেই ৭৫ সালে উদ্বোধন করেন। একবার ভাবুন যে, টেলিকম খাত এখন বিশ্বের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক সেই টেলিকম খাতের ভিত্তি হিসেবে টিএন্ডটি বোর্ড তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। স্মরণে রাখুন পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার ৬ বছর পর শেখ হাসিনা পোড়ামাটিতে চারাগাছ রোপণের কাজ দিয়ে তাঁর বর্তমান রাজনৈতিক জীবনের শুরু করেন। ’৮১ থেকে সুদীর্ঘ পনেরো বছর লড়াই করে ’৯৬ সালে তিনি যখন জাতির পিতার দেশটি পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন সেটিকে পাকিস্তান বানানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। একদিকে উল্টা করা পার্টিকে সোজা করা, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা ও অন্যদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটিকে উদ্ধার করার কঠিন লড়াইতে তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেন। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর একটি সুমহান কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে, তিনি পিতা, মাতা, ভাই, ভাবি ও আত্মীয়স্বজনসহ পঁচাত্তরের ঘাতকদের বিচারসহ একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করেন। ইতিহাসে এটি এক অনন্য নজির। এখন থেকে বায়ান্ন বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক প্রয়াত প্রফেসর রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার মধ্যে কোন অহমিকা নেই, এখনও সে আমার ছাত্রী।’ প্রয়াত আনিস স্যারও এ কথা বলতেন। মনে হচ্ছে আমাদের এই দুই স্যারই তাদের ছাত্রী শেখ হাসিনার বাংলা বিভাগের জীবনটাকে একদমই ভুলতে পারেননি। একটি বহুল প্রচারিত ভিডিও সবারই নজরে পড়ার কথা যেখানে প্রফেসর আনিসুজ্জামান স্যার লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্বাঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটছেন এবং তিনিই তাঁর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের চাদরটা ঠিক করে দিচ্ছেন। এসব ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে আপনারা হয়ত লক্ষ্য করে থাকবেন যে, শেখ হাসিনা তাঁর শিক্ষকদের কি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। তাঁর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন, সরকার পরিচালনা, দল চালানো, পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে বই-এর পর বই লেখা যায়। আমি এই আলোচনায় খুব ছোট করে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে তাঁর অসাধারণ অবদানের খ-চিত্র একেবারেই ব্যক্তিগত প্রেক্ষিত থেকে লিখছি। ঢাকা, প্রথম লেখা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ॥ সর্বশেষ সম্পাদনা ১৪ জানুয়ারি ২০২২ (মতামত লেখকের নিজস্ব) লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক [email protected] www.bijoyekushe.net.bd
×