ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনী উৎসবে মেতেছেন শিল্পীরা

প্রকাশিত: ২১:২৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

নির্বাচনী উৎসবে মেতেছেন শিল্পীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারকাদের নির্বাচন নিয়ে এখন সরগরম পুরো চলচ্চিত্রপাড়া। নির্বাচন ঘিরে কয়েকদিন ধরেই রমরমা বাংলা ছবির প্রাণকেন্দ্র বিএফডিসি। পিছিয়ে নেই ছোট পর্দাও। অভিনয় শিল্পী সংঘের দ্বিবার্ষিক মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে নাটকপাড়াও মুখর। নির্বাচনী উৎসবে মেতেছেন শিল্পীরা। চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি আর টিভি নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ; একই দিনে (২৮ জানুয়ারি) পড়েছে দুই সংগঠনের ভোট গ্রহণ। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে চলচ্চিত্রের দুই প্যানেলের প্রার্থীদের তালিকা। তবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মতো অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন প্যানেলভিত্তিক হয় না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পীরা। সভাপতি পদে এবার মুখোমুখি দুজন আহসান হাবিব নাসিম ও শাহাদাৎ হোসেন নিপু। বিদায়ী কমিটিতে পরপর দুবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নাসিম এবারই প্রথম সভাপতি পদে লড়ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন দুজন রওনক হাসান ও কবীর টুটুল। আগের কমিটিতে রওনক ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও শিল্পীরা উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে নির্বাচন। সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন-তানভীন সুইটি, তানিয়া আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, সেলিম মাহবুব ও ইকবাল বাবু। এ পদে নির্বাচিত হবেন তিনজন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন-নাজনীন হাসান চুমকি, শামীমা তুষ্টি, হাসান জাহাঙ্গীর ও জামিল হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়বেন সাজু খাদেম, তুষার মাহমুদ ও জুলফিকার চঞ্চল। এছাড়া আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ২৮ জানুয়ারি সারাদিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটগ্রহণ চলবে। শিল্পীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তি নির্বাচন করবেন। প্রাথমিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ১০০। পূর্ণাঙ্গ ৯০০ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনের বেশি মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন থাকেন দেশের বাইরে। তাই ৭৪৮ সদস্য ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। প্রার্থীরা বলছেন, যিনিই জিতুন, তাদের গলায় মালা পরাবেন। তবু ভোটের মাঠে লড়াইটা মুখ্য।
×