ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পোস্তগোলায় গার্মেন্টসে আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত: ২১:২৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

পোস্তগোলায় গার্মেন্টসে আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পোস্তগোলার শ্যামপুর লাল মসজিদের পাশে একটি গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আলম টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে কোটি টাকার মালামাল। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ষষ্ঠ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত। নয়টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সোয়া ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে গার্মেন্টসে আগুন লাগার কারণে তা নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীর। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কয়েকজন স্টাফ ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। তাদের চিৎকারে লোকজন নিচে নেমে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে প্রথমে পাঁচটি, পরে একে একে আরও চারটি ইউনিট গিয়ে দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের ধারণা, তৃতীয় তলা থেকে শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকার সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম জানান, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টসটির পোশাক তৈরির সর্বশেষ ধাপের কাজ চলত। গার্মেন্টসটিতে একাধিক শিফটে কাজ হতো। তবে আগুন লাগার সময় সেখানে কাজ চলছিল কিনা, তা জানা যায়নি। আগুন লাগার পর তৃতীয় তলা থেকে ৬-৭ জনকে নিরাপদে বের করে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। গার্মেন্টস হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায় এমন অনেক মালামাল ছিল। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির তৃতীয় তলায় থাকা গার্মেন্টসের সব মালামাল পুড়ে গেছে। চতুর্থ তলায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভবনের সামনের দিকের জানালাগুলো ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি ছিটানোর ফলে ভেতরে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। পুড়ে যাওয়া কাপড়, কাপড়ের টুকরা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এসব মালামালের কিছু নিচে ফেলা হয়েছে। সেখান থেকেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। আগুন লাগার খবরে ভোরে সেখানে এসে ভিড় করেন শ্রমিকরা। তাদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। কেউ কেউ এ গার্মেন্টসের বেতনের টাকা দিয়েই সংসার চালাতেন। আয়ের সে পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রমে চিন্তিত সবাই। সুরাইয়া নামের একজন শ্রমিক বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে গার্মেন্টসের কাছেই টিনশেডের বাসায় ভাড়া থাকেন। বিকেলে কাজ করে বাসায় চলে যান। রাতে শুনতে পান গার্মেন্টসে আগুন লেগেছে। এ কথা শুনে ভেতরটা হু হু করে উঠে। রাতেই দৌড়ে সেখানে আসি। আবার সকালেও আসি। কিন্তু কাজ করতে পারিনি। মালিক পক্ষ বলেছে, ঠিকঠাক করা হোক, তারপর কাজ। জানি না কতদিন এভাবে থাকতে হবে। করোনার মধ্যে চাকরি পাওয়াও কঠিন।
×