ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে মধু চাষে বাবুলের মাসিক আয় লাখ টাকা

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

নাটোরে মধু চাষে বাবুলের মাসিক আয় লাখ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ ৭ বছর আগে আবুল হোসেন বাবুল(৫৫) গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এই সাত বছরের ব্যবধানে এখন স্থানীয়রা তাকে মধু বাবুল বা মৌচাষী বাবুলনামে চেনেন। কারণ মৌমাছি’র খামার করে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে এখন তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি এখন স্বাবলম্বী। মধু’র কারবার যেন তার পদপদবী থেকে শুরু করে সবকিছুই পাল্টে দিয়েছে। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামে বসবাস করেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাকমুন্ডপ বাজারে বাবুলের রয়েছে মৌ খামার। খামারে আছে ৬০টি মৌবাক্স। খামারে কাজ করেন ৪ জন কর্মচারী। খামারের পাশাপাশি তিনি সরিষা, ধনিয়া, কালোজিরা, লিচু সময় মধু সংগ্রহ করেন। বছরের ৭ মাসে তিনি প্রায় ১’শ মণ মধু সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে সরিষা থেকেই মধু সংগ্রহ করেন প্রায় ৪০ মণ। সংগৃহীত এই মধু অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন পাইকারী বাজারে বিক্রয় করেন তিনি। খরচ বাদ দিয়ে তার বার্ষিক আয় হয় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। মৌচাষে বাবুলের সফলতা দেখে অনেকেই তার কাছে পরামর্শ নিতে আসেন। বাবুল জানান, ২০১৪ সালে মৌচাষ প্রশিক্ষণের উপর ১৫ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করি মৌচাষ। পরে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ নেই। এখন আমি মৌচাষের পাশাপাশি বিসিকের একজন ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করছি। এরমধ্যে উপার্জনের অর্থ দিয়ে তিনি কিছু জমি কিনেছেন, শহরে জায়গা কিনেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, সিংড়া উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে ২৪৯ টি মৌবাক্স স্থাপন করে মৌচাষীরা মধু সংগ্রহ করছেন। এ বছর প্রথমবারের মত কৃষি অফিস থেকে আমরা ১০জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষককে আধুনিক মৌবাক্স দিয়েছি। সরিষার এই সময়ে মধু সংগ্রহ করে কৃষকরা বাড়তি আয় করছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। আশা করছি আগামীতে এই এলাকায় সরিষা আবাদের পাশাপাশি মৌচাষীর সংখ্যাও বাড়বে।
×