ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানবদেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন নিয়ে নানা প্রশ্ন

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

মানবদেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন নিয়ে নানা প্রশ্ন

বিশ্বে প্রথমবারের মতো মানবদেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে চলতি মাসের ৭ তারিখে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন রোগীর দেহে জেনেটিকালি রূপান্তরিত একটি শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। তবে চাইলেই তারা এ অস্ত্রোপচার করতে পারেনি। এর জন্য তাদের যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা তদারকি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়েছে। কারণ মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত ছিলেন না ওই রোগী। এ ঘটনাকে অনেকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিলেও মানবদেহে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপন নৈতিকভাবে কতটা সমর্থনযোগ্য- সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। একদিকে যেমন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শূকরের অঙ্গ ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে অন্যদিকে প্রাণী অধিকারের বিষয়টিও সামনে আনছেন অনেকে। ইসলাম ও ইহুদি ধর্মে শূকর পালন বা খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু জীবন-মৃত্যুর প্রশ্নে শূকরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে বলছেন ধর্ম বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। মিসরের ধর্মীয় বিধি আরোপের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দার আল-ইফতা এক ফতোয়ায় বলেছে, জীবনের ঝুঁকি, অঙ্গহানির সম্ভাবনা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা থাকলে শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভালভ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। লন্ডনের ইহুদি পাদ্রি ড. মোশে ফ্রিডম্যান বলছেন, জরুরী প্রয়োজনে মানবদেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করা ইহুদি আইনের পরিপন্থী নয়, কারণ ইহুদি ধর্মের প্রাথমিক দর্শন মানবজীবন রক্ষা করা। আবার বিষয়টি অনৈতিক বলছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োএথিকসের গবেষক ক্যাটরিয়েন ডেভলডার মন্তব্য করেন, জেনেটিক্যালি রূপান্তরিত শূকরের অঙ্গ আমরা ব্যবহার করতে পারি, যদি নিশ্চিত করা যায় যে শূকরগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে না। -বিবিসি
×