ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সর্বশেষ প্রতিবেদনকে ‘একপেশে, অগ্রহণযোগ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি পড়ে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হয়ত কেউ ড্রাফট করে দিয়েছে এবং তারা তা পরিমার্জন করে প্রকাশ করেছে মাত্র, এর বেশি কিছু নয়। শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এ ধরনের সংগঠন থাকা অবশ্যই ভালো, কিন্তু বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ রক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশে নিজেদের ব্যবহার করা বিবৃতি দেয়া সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি তিনি দেখেছেন। এটি কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়, একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে উল্লেখিত নির্দিষ্ট দু’তিনটি বিষয় ছাড়া মানবাধিকার নিয়ে তাদের আর কিছু জানা আছে বলে মনে হয় না। একজন লেখক ও রেইন ট্রি হোটেল নিয়ে কিছু ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রায়ই যা বলে থাকেন, বিবৃতিতে সেগুলোই আছে। কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা গুয়ান্তানামো বে’র বন্দী নির্যাতন কারাগার বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সে দেশে বসে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই যে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়, সেসবের দিকে নজর দিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতি অনুরোধ জানান ড. হাছান মাহমুদ। ‘সরকার ওমিক্রন প্রতিরোধের নামে বিএনপি দমনে বেশি সচেষ্ট’- বিরোধী পক্ষের এমন মন্তব্য সম্পর্কে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে শুধু বিএনপির সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলা হয়নি, আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের জন্যই তা প্রযোজ্য। এখন বিএনপি ওমিক্রন প্রতিরোধ না করে ওমিক্রন বেশি ছড়াতে চায় কি না, সেটিই প্রশ্ন। এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করা এবং বিনা বিচারে শত শত সামরিক সদস্যদের ফাঁসি প্রদানের ঘটনা এ দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। কমিশনের রাঙ্গুনিয়া শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ কে এম মুছার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার উদ্বোধক এবং রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মেয়র আলহাজ মোঃ শাজাহান শিকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
×