ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হৃদয়গ্রাহী মিলন

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

হৃদয়গ্রাহী মিলন

১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি ভারত। অপরটি পাকিস্তান। ওই বছর পাক-ভারত ভাগের পাশাপাশি ভাগ হয়ে যায় অগণিত পরিবার। দেশ দুটির সীমারেখা যেন আঁকা হয় তাদের হৃদয়ের ওপর দিয়ে। সীমান্তের পরিবারগুলোতে আনে বিচ্ছেদের ক্রন্দন। এবার সেইরকম একটি পরিবারে বয়ে গেল আনন্দ অশ্রু। খবরে বলা হয়েছে, ৪৭ সালে অবিভক্ত পাঞ্জাবে বসবাসকারী একটি পরিবারের একাংশ ভারতে থেকে যায়। অপর অংশ চলে যায় পাকিস্তানে। মোহাম্মাদ সিদ্দিক থাকেন পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে। হাবিব থাকেন ভারতের পাঞ্জাবে। মঙ্গলবার ৭৪ বছর পর কর্তারপুর করিডরে এই দুই ভাইয়ের সাক্ষাত হয়। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের আনন্দের কান্নায় উপস্থিত সবার চোখ ভিজে যায়। এতদিনে হয়ত তারা দেখা হওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। দেশভাগের সময় সিদ্দিক তখন খুবই ছোট। মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল তার। বড় ভাই হাবিবের বয়স ছিল ৬ বছর। সিদ্দিক পাকিস্তানে বড় হতে থাকেন। আর বাবার সঙ্গে ভারতে বড় হতে থাকেন বড় ভাই হাবিব। তাই সাক্ষাতে তারা শৈশবের আলাপ করেন সারাক্ষণ। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও অনেক নেটিজেনের চোখেও অশ্রু ঝরিয়েছে। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অনেকে। হাবিব তাকে ভিসা ছাড়াই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়ায় পাক সরকারের প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে দুই ভাই আবারও দেখা করবেন বলে জানান। ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের কর্তারপুর করিডর চালু হয়। এরপর থেকেই এই জায়গাটা হয়ে উঠেছে দুই পাড়ে আলাদা হয়ে যাওয়া স্বজনদের মিলনমেলা। মোহাম্মদ সিদ্দিক জানান, ভারতের পাঞ্জাবে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে তার মা-বাবা ভয় পেয়ে পাকিস্তানে চলে আসেন। দুই বছর আগে কানাডার একজন শিখ সমাজকর্মীর কাছ থেকে জানা যায়, তারা দুজনই বেঁচে আছেন। এরপরই তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। তবে করোনার কারণে এ সাক্ষাতে কিছুটা দেরি হয়। ডন ও এনডিটিভি অবলম্বনে
×