সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা ॥ ফেরি সঙ্কটে প্রায় দু’মাস ধরে কাজিরহাট-অরিচা রুট অচলাবস্থায় পড়েছে। শত শত যানবাহন ঘাট পারের অপেক্ষায় থাকলেও ঘাট-পন্টুন স্বল্পতার কারণে ফেরি বাড়ানো যাচ্ছে না। মাত্র একটি ছোট ফেরি দিয়ে চলছে এই নৌরুট। একটি পন্টুনে চলছে যানবাহন লোড আনলোডের কাজ। দুই পারে আটকে থাকছে ৪ শতাধিক যানবাহন ও মালবাহী ট্রাক।
শুক্রবার সকালে পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েক মাস যাবত ঘাট অচলাবস্থায় থাকলেও পন্টুন স্বল্পতার কারণে ফেরি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ফেরিঘাটে ঘাট-পন্টুন বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার জানিয়েছি। তারাই বিষয়টি দেখভাল করছেন। পন্টুন ও ঘাট না বাড়ালে ফেরিঘাটের অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাট এলাকায় আগত ট্রাকচালকদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা না থাকায় চরম কষ্টভোগ করছেন ঘাটে অবস্থানরত ব্যক্তিরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন ট্রাক, বাস, কার, মাইক্রোবাসচালকদের থাকতে হচ্ছে পারের অপেক্ষায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ট্রাকশ্রমিক, নারী ও শিশুরা। ভাসমান দোকান থেকে অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে।
কজিরহাট ফেরিঘাটের টার্মিনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট আবুল কাইয়ুম বলেন, ‘এ রুটের বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের একটাই পথ- সেটি হলো নতুন ঘাট করে বড় পন্টুন স্থাপন করে বড় বড় ফেরি বহরে যোগ করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় দু’মাসের অধিক সময় এ ঘাটে দিনরাত ৪শ’ থেকে ৫শ’ ট্রাকের সারি থেকেই যাচ্ছে। যতদিন আরও ২ থেকে ৩টি ফেরি এ রুটে যোগ না হবে; ততদিন সমস্যা থেকেই যাবে।
কয়েকজন ট্রাকচালক বলেন, নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য যশোর থেকে ঘাটে এসে কয়েকদিন অবস্থান করছি। গতানুগতিক একই সমস্যা অর্থাৎ টয়লেট, গোসল-খাওয়া-থাকার সমস্যায় পড়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পরিবহন কর্পোরেশনের কাজিরহাট অফিসের ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, পাঁচটি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরি চলাচলের বাইরে রয়েছে। গত ২ জানুয়ারি থেকে মেরামতের জন্য ফেরি কপোতী আরিচা ঘাটে নোঙর করা হয়েছে। এখন একটি ফেরি চলাচল করছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দূরীকরণে আরও পন্টুন স্থাপন করে নতুন বড় ফেরি বাড়ালে ঘাট আগের মতো ফিরে আসবে। কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিক পন্টুন স্থাপন করে ফেরিঘাট সচল করার আহবান জানান তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: