ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে

প্রকাশিত: ২১:৫১, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিধিনিষেধের মধ্যে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। করোনা সংক্রমণরোধে মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বোচ্চ জোর দিয়েছে প্রশাসন। এ কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এক প্রকার বাধ্যতামূলকভাবেই মাস্ক পরে মেলায় প্রবেশ করতে হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলায় দেখা গেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরের পর বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর ভিড়ে প্রতিটি স্টল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মেলায় কেনাকাটাও বেড়েছে। তবে গেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে। যারা মাস্ক পরেননি তাদের দেয়া হয়েছে মাস্ক। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে খোলা থাকছে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ টাকা ও শিশুদের ২০ টাকা ধরা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন চলছে সরকারের বিধিনিষেধ। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার কথা বলা রয়েছে। তাই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এ নির্দেশনা। আনসার, স্কাউট মেলায় আগতদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে নজর রাখছেন। মাস্ক ছাড়া কেউ ঘোরাঘুরি করতে পারছেন না। বিক্রেতারা বলছেন, শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় অন্য দিনগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা খুব কম থাকে। ছুটির দিনে মেলা জমে বেশি। সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি ভাল। বেচাবিক্রিও ভাল কিছুটা। অন্যান্য দিনের তুলনায় বিক্রি কয়েকগুণ বেশি হচ্ছে। আর মেলায় আগতদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিক্রেতারাও অনুরোধ জানাচ্ছেন। ঢাকার মিরপুর থেকে সপরিবারে মেলায় ঘুরতে ফারজানা খান। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। আগে ঢাকায় হতো, তখন তো মেলায় ঢুকতে অনেক কষ্ট হতো। এখন সেখান থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে করোনার কারণে রয়েছে কিছুটা আতঙ্ক। গেটে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দিচ্ছে না, মাস্ক পরতে বলছে। আর বাণিজ্যমেলায় সবাই আসে বিভিন্ন অফারে ভাল পণ্য কিনতে, আমরাও সেজন্য আসা হয়েছে। দেখা যাক কি কেনা যায়। মেলায় স্টল নেয়া হোম টেক্সটাইলের বিক্রয়কর্মী রাশেদ জানান, অন্যান্য সময় সারাদিনে যা বিক্রি হয় শুক্রবার দুপুরের মধ্যে তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। ছুটির দিনে বিক্রি কিছুটা বেশি। সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড়। আশা করি রাত পর্যন্ত ভাল বিক্রি হবে। সার্বিক বিষয়ে বাণিজ্যমেলার পরিচালক ও বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ বলেন, শুক্রবার অন্যান্য দিনের তুলনায় মেলায় ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। তাদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ৩০ জন আনসার, ২৫ জন স্কাউট রয়েছে। এছাড়া প্রায় এক থেকে দেড়শ’ লোক মাস্ক পরার জন্য মানুষকে সচেতন করছে। মাইকিং করছি স্বাস্থ্যবিধি মানতে।
×