ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন

প্রকাশিত: ২১:৩০, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক আইন

‘সব সময় চালকের দোষে কিংবা লক্কড়- ঝক্কড় যন্ত্রযানের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে না। অনেক সময় পথচারীদের অসতর্কতা কিংবা অন্যমনস্ককতায়ও দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রত্যেকের ন্যূনতম জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে পাঠদানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।’ শাহজালাল বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এইসব কথা বলেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই এই স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের ছাত্র আবদুল করিম রাজীব এবং ছাত্রী দিয়া খানম মিম। সামনে এক বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে। এ নিয়ে সেই সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ কর্মসূচী পালন করে। গত বছরও শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য তারা অদক্ষ চালক এবং ক্রটিপূর্ণ যাবনহনের কথা উল্লেখ করে। এ দু’টি ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার আরও অনেক কারন রয়েছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করা, অতিরিক্ত যন্ত্রযানের উপচে পড়া ভিড়, মানুষের সচেতনতার অভাব ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টিই তুলে ধরতে চেয়েছেন। ছাত্র জীবনে প্রাপ্ত শিক্ষা মানুষের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এজন্য স্কুল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার দিকে মনোযোগী থাকেন। ছাত্রাবস্থায় ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারলে ভবিষ্যত জীবনেও এর প্রতিফল ঘটবে। যানজটের শহর রাজধানী ঢাকা। হরেক রকম যন্ত্রযানের ভির এই শহরে। ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি এবং বৃহৎ যানবাহন চলাচল করে রাস্তায়। অনেক যানবাহন সড়কে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দুর্ঘটনা ঘটায়। ট্রাফিক পুলিশেরও থাকে গাফিলতি। ট্রাফিক সঙ্কেত ডিজিটাল পর্যায় অবারিত হয়নি। তাই আধুনিক প্রযুক্তির ঢাকা শহরেই ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়েই সঙ্কেত তৈরি করে। এটি কোনভাবেই বিজ্ঞানসম্মত বা আইনানুগ নয়। দুই চাকার মোটরবাইক কোন নিয়মকানুনের ধারই ধারে না। মুহূর্তেই তারা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সঙ্গত কারণে বিপত্তি পদে পদে। দুর্ভাগ্যবশত অনেক সময় নির্দোষ চালককেই সব দায়ভার নিতে হয়। এমনকি তাকে পিটিয়েও মেরে ফেলা হয়। এমন সব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাকে সমূলে বিনাশ করতে গেলে সবারই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক। নিজের যদি বিধিসম্মত ধারাগুলো জানা থাকে তাহলে পথচারী নিজেই সতর্ক হবে রাস্তা পারাপারে। রাস্তা পার হতে গিয়ে আন্ডারপাস এবং পথচারী সেতু ব্যবহার করতে চাননা। চলমান গাড়ির ভিড়ের মধ্যে রাস্তা পারাপারে এগিয়ে যান। এতেও ঘটে দুর্ঘটনা। সড়কে নামার আগে চালক ও বৃহৎ যানটির সক্ষমতা নিরূপণ করাও সচেতন দায়বদ্ধতা। বড় যন্ত্রযানগুলোয় সব সময় হঠাৎ ব্রেক কষে থামানো যায় না। বিষয়গুলো মাথায় রেখে নিজের সাবধানতা নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে।
×