ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুর রেলষ্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পে ওভারব্রিজ সংযোগে নেই প্লাটফর্ম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

সৈয়দপুর রেলষ্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পে ওভারব্রিজ সংযোগে নেই প্লাটফর্ম

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজে পুরো ষ্টেশন এলাকা মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওভার ব্রিজটির সাথে কোন প্লাটফ্রর্মের সংযোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেলে ভ্রমনকারী যাত্রী সাধারন। সৈয়দপুর রেল স্টেশন সুত্র মতে, প্রতিদিন এ ষ্টেশন হয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, ভারত থেকে মোট ৭ টি মেইল ও ১ লোকাল এবং ১ টি মালবাহি ট্রেন যাতায়াত করে। এতে হাজার-হাজার যাত্রীর পদভারে মুখরিত হয়। দির্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় জনাজির্ণ এ স্টেশনের কাজ মুজিববর্ষ উপলক্ষে শুরু করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৫টি স্টেশন আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় প্লাটফ্রর্ম শেড নির্মাণ, অ্যাকসেস কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন প্লাটফর্ম উঁচু করণ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। ১১ নভেম্বর রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ে শুরু হয় সৈয়দপুর রেল ষ্টেশনের উন্নয়ন কাজ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো স্টেশন চত্তর ঘেরা ও প্লাটফ্রম উচু করা কাজ শুরু হয়। তবে এ ষ্টেশনের ওভার ব্রিজের সাথে একটি প্লাটফ্রমের কোন সংযোগ নেই। শুরু স্টেশন এলাকা পারাপার হতে ওভার ব্রিজটি ব্যবহার করা হয়। তাই দুরের গন্ত্যবেগামী যাত্রীদের কোন কাজেই আসছেনা ওভার ব্রিজ। বেশির ভাগ যাত্রী হেটে রেললাইন অতিক্রম করে ট্রেন ধরতে প্রায় ৫ ফুট উচু ১ নং প্লাটফ্রমে চ্যাংদোলা করে উপরে উঠেন। আর ২ নং প্লাটফ্রমের কোন যাত্রী অবস্থান করলে তাকে ট্রেনের ২ শত সামনে অথবা পিছন দিয়ে দৌড়ে উঠতে হচ্ছে। ট্রেন ধরতে দৌড়ের এ খেলায় যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যাত্রী জানান। ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের আবুল হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, আমরা ব্যবসায়িক কাজে এ শহরে এসেছি। রিক্সায় পুর্ব গেট দিয়ে পায়ে হেটে স্টেশনে প্রবেশ করি। ওই মুহুর্তে নীলসাগর চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর রেল ষ্টেশনে প্রবেশ করে। আমরা ২ নং প্লাটফ্রমে আটকে যাই। সামনে ট্রেন। পিছনে ২ শত মিটার, সামনে দুই মিটার পেরিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে। সামান্য সময়ে দৌড়ে ট্রেনটিতে উঠতে পারি। এমন অভিযোগ সকল যাত্রীদের। স্টেশনের উন্নয়ন কাজে শুধু প্লাটফ্রম উচু হবে। কিভাবে যাত্রীরা সহজে সেই প্লাটফ্রমে উঠবে এমন পরিকল্পনা না করে কিভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ করছে? এ ষ্টেশন হয়ে দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আ: রহমান নামে রেল ষ্টেশনের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, ব্রড গেজ ষ্টেশনের প্লাটফ্রম এর শেড থেকে আরও বড় রেকগুলোর লোড বাড়াতে হবে। এতে ২৪ থেকে ৪৮ লোডের ১ টি বি জি রেক, ৩ টি দির্ঘ শেডের মোট ৫ টি প্লাাটফর্ম ও এর সাথে ভবন করতে হবে। এছাড়া যাত্রী সাধারনের কিছু সময় অবকাশ যাপনের জন্য সকল ব্যবস্থাপনা, বসার জন্য কংক্রিট এর বেন্স, পানি পানের জন্য আলাদা করে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অসুস্থ্য যাত্রিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফামেৃসী, মালামাল পরিবহনের সুবিধার জন্য ট্রলিসহ নিরপত্তার জন্য সিসিটিভি, সাইনবোর্ড স্থাপনে নিরাপদ বেষ্টনিতে আবৃত একটি আদর্শ স্টেশন হতে পারে। আর পরিকল্পনায় এর উন্নয়ন কাজ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। আধুনিক রেলস্টেশন নির্মানের এ দাবি স্থানিয় সচেতন মহলসহ সকল যাত্রী সাধারণের। এ নিয়ে পার্বতিপুর ওপেন লাইন শাখার এইএন মো: রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, মুলত এটি পশ্চিমাঞ্চল রেল স্টেশনের উন্নয়ন কাজের একটি অংশ। তাই বিষয়টি যাত্রী সাধারনের কথা ভেবে উর্ধ্বত্বনদের অবহিত করা হবে।
×