ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয়

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয়

বিশ্বে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। উৎসবমুখর ডিসেম্বর কাটিয়ে জানুয়ারি পড়তেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ওমিক্রন যেভাবে সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করোনার থার্ড ওয়েভ বা তৃতীয় স্রোত নিয়ে আশঙ্কা-জল্পনা বাড়ছেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ধরা হয়। আর সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ ছাড়ালে পরবর্তী ঢেউ আঘাত হেনেছে ধরা হয়। দেশে সংক্রমণের হার ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ছিল ৯ শতাংশের কাছাকাছি। দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আছে। উভয়ই দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে চাপে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। কিন্তু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়া আটকানো যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড লেসেলস বলেছেন, ‘এই ভাইরাসটির সংক্রমণের ক্ষমতা, এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা আমাদের শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেদ করার কিছু ক্ষমতাও সম্ভবত এর রয়েছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরনের নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন করোনার ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেকটাই কম শক্তিশালী এই ওমিক্রন (ঙসরপৎড়হ)। তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি, যা আমাদের বর্তমান অবস্থাকে আরও ভাবিয়ে তোলে। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে করোনাভাইরাসের ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা দিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন অবিশ্বাস্য হারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের প্রায় ১০০টির বেশি দেশে এ পর্যন্ত নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের রোগী শনাক্ত হয়েছে। সারাবিশ্ব যেখানে ওমিক্রনে দিশেহারা বাংলাদেশও সেখানে শঙ্কামুক্ত নয়। গত একদিনে করোনায় শনাক্ত ২ হাজার ৯১৬ জন, সঙ্গে মৃত্যু ৪জন। শনাক্তের হার বেড়ে ১১ শতাংশ। করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১১ জনের। যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, তাই এখন থেকে করোনার পরীক্ষাও বাড়াতে হবে। সংক্রমণ ৫ শতাংশের ওপরে গেলে সাধারণত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই সবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সবার মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা। দেশে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ঢেউয়ে রূপ নিচ্ছে। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি শুধু আদেশ দিয়ে বসে থাকলে হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। আইন প্রয়োগ করার মাধ্যমে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সামনে বিপদ অপেক্ষা করছে। করোনাভাইরাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি টিকে থাকতে অন্যান্য ভাইরাসের মতো প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তন বা মিউটেশন করতে থাকে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মূলত ভাইরাসের মিউটেশনের কারণে হবে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইতোমধ্যেই জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। ২০২২ সালের শুরু থেকেই করোনার নতুন করে উর্ধগতি মানুষের মনে উৎকণ্ঠা তৈরি করছে। বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশে আগামী তিন থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের বিষাক্ত থাবা থেমে নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইতালি ফ্রান্সে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। এসব দেশে প্রতিদিন ১ লাখের বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, যা বিশ্ব মহলের সামাজিক বা অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. আব্দি মাহামুদ বলেছেন, ‘ওমিক্রন যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম ক্ষতিকর সেটি বলার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। সুতরাং মূল বার্তা হলো, আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন তাহলেই আপনি নিরাপদ।’ প্রাপ্ত-বয়স্কদের পাশাপাশি বর্তমানে দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবুজ সঙ্কেত পেলে এর চেয়ে কম বয়সীদেরও করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তিকর। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী কেবল যে মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যেও দুর্যোগ বয়ে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে ঠিক তখনই করোনার আঘাত এসে লাগল এদেশের অর্থনীতিতে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা বিপর্যস্ত হবার কথা ছিল বাহ্যত ততটা হয়নি। করোনা সহসা আমাদের পিছু ছাড়বে না। নিউ নরমাল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের জীবনে ছন্দ ফিরিয়ে আনতে হবে। তাছাড়া লকডাউন দূরবর্তী স্থানে ভাইরাসের বিস্তার রোধে কার্যকর হয়। কিন্তু এখন দেশের সব অঞ্চলেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সম্পূর্ণ লকডাউন করোনা বিস্তার রোধে খুব একটা সাহায্য করতে পারবে না। অথচ সেটা অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করবে। তাই সংশ্লিষ্টদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বউদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া জরুরী। পাশাপাশি ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজমের মতো সব অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। নইলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং আমাদের মতো ছোট অর্থনীতির জন্য তা সামাল দেয়া মুশকিল হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সাম্প্রতিক উর্ধগতি মোকাবেলায় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার নির্দেশনাও আছে। এছাড়া নতুন নির্দেশনাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগতদের জন্য বাধ্যতামূলক এ্যান্টিজেন পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত আছে। টিকার সনদপত্র থাকলেও এ পরীক্ষা করাতে হবে। হাসপাতালে ভর্তির জন্য সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা কমিয়ে দেয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোকে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। যেখানে করোনা শনাক্ত হবে আক্রান্তদের সেখানেই চিকিৎসা নিতে হবে। যথাযথ ব্যাখ্যা ছাড়া কোন রোগীকে ঢাকায় পাঠানো যাবে না। কারণ এটি ওমিক্রন ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই করবে না। দেশজুড়ে যেভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জমায়েত চলছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাসপাতালগুলো রোগী দিয়ে ভরে যাবে এবং তখন আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সংক্রমণ বৃদ্ধি এখনও ‘টেক-অফ’ অবস্থায় আছে এবং মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এটি শীর্ষে পৌঁছাতে পারে। যদি আমরা এটিকে দেরি করিয়ে দিতে পারি তবে আমাদের জন্য ভাল হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ এক ডোজ এবং ৩১ শতাংশ মানুষ পূর্ণ দুই ডোজ করোনার টিকা পেয়েছেন, যা এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই নগণ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা অনুসারে যেখানে দুই ডোজ টিকা দিয়েছে ভুটান ৭৫.১%, মালদ্বীপ ৬৭.৩%, শ্রীলঙ্কা ৬২.৯%, নেপাল ৩৫.৫% সেখানে বাংলাদেশ ৩১.২%। দেশে পর্যাপ্ত টিকা মজুত থাকা সত্ত্বেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে টিকাদান কর্মসূচীকে বেগবান করা সম্ভব হচ্ছে না। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ দেশে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭ হাজারের বেশি মানুষকে এই ডোজ দেয়া হয়েছে। মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চায় সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে ২২ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ডোজ। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে ১৩ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৮ কোটি ৮৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা মজুত আছে। আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৯-১০ কোটি ডোজ টিকা আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ। করোনা সংক্রমণ রোধে আমাদের শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে, হাত পরিষ্কার রাখা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে সব ধরনের সামাজিক (বিয়ের অনুষ্ঠান, মেলা ইত্যাদি), ধর্মীয় (ওয়াজ মাহফিল) ও রাজনৈতিক সমাবেশ এই সময় বন্ধ করতে হবে। সভা-কর্মশালার ব্যবস্থা অনলাইনে করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীসহ সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা অতীব প্রয়োজন। দেশে প্রবেশের সব পথে (বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর এবং সীমান্ত) ক্লিনিং, বাধ্যতামূলক ৎঃ-ঢ়পৎ টেস্ট করা, কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন আরও জোরদার করতে হবে। সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা মোকাবেলায় হাসপাতাল প্রস্তুতি, বিশেষ করে পর্যাপ্ত সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এখানে বলে রাখা দরকার যে, ওমিক্রন আসার প্রাক্কালে উন্নত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ প্রথমত এই ব্যবস্থাটির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করার জন্য মডিফাইড ভ্যাকসিন এর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি (কন্টিনজেন্সি প্লান) নিয়েও রাখছে তারা। আমাদেরও প্রয়োজন এসব টিকার সংস্থান এবং মজুদের পাইপলাইনের একটি কন্টিনজেন্সি প্লান তৈরি করে রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের পূর্বের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতো ওতটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও এর সংক্রমণের হার বেশি। তাই অধিক সংক্রমণের হারের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এমতাবস্থায় দেশে করোনার ৩য় ঢেউ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শুধু টিকা নেয়া সম্পন্ন হলেই চলবে না, পূর্বের ন্যায় কঠোর বিধি-নিষেধ মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যারা এখনও টিকা গ্রহণ করেননি তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে। সরকারের উচিত টিকা প্রদানের হার বৃদ্ধি করা এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশের অধিকাংশ জনগণকে টিকা কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা। লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
×