ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশেষ সাক্ষাৎকারে গাজী মাজহারুল আনোয়ার

যার এখনও দাড়ি-গোঁফ উঠেনি সে লিখবে সিনেমার গান!

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

যার এখনও দাড়ি-গোঁফ উঠেনি সে লিখবে সিনেমার গান!

বর্তমান সময়টা কেমন যাচ্ছে? সময়টা ভাল যাচ্ছে। আমি মনে করি, প্রতি মুহূর্তে আমাদের ভালর দিকে আকর্ষণ থাকা উচিত। তার মধ্যে চলার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হতেই পারে। সেটি প্রতিরোধ করতে হবে। যেমন আমাদের স্বাধীনতার পথে আমরা লড়েছি। চারদিক থেকে আক্রান্ত হয়েছি। তার প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা আন্দোলনে গিয়েছি। সব শেষে আমরা জয়ও করেছি। এদেশের মানুষ অন্তরের দিক থেকে এতটাই বলবান যে, তারা হারতে জানে না। সব সময় জয় করতে পারে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের কি প্রাপ্তি হয়েছে বলে মনে করেন? আমাদের অস্তিত্বকে দৃঢ়ভাবে আমরা নিয়ে যেতে পেরেছি। এর মধ্যে চলার পথে মানুষের অনেক বিঘ্ন আসে, ধন্ধ আসে। এক কথায় সব কিছুই আসে। আমি মনে করি আমরা সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে এগিয়ে যেতে পারছি। তাই বলে আমরা একেবারে বাধা বিঘ্নহীন আছি সেটাও বলব না। আমরা ভয়কে জয় করতে শিখেছি। অতএব এদেশ আরও এগিয়ে যাবে। এদেশের সব কিছুই আমাদের প্রত্যাশিত আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই পাব। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন, একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন। অনুভূতি কি? যখনই এ বিষয়গুলোর কথা ভাবতে যাই তখনই মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অবনত হই। এ কারণে, এটা একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব হওয়া খুব কঠিন কাজ। কিন্তু মানুষের উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও ভালবাসায় সবই হয়েছে। এ জন্য আমার পরিবারের কাছ থেকেও আমি দারুণ সাপোর্ট পেয়েছি। আমি অত্যন্ত আস্থা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি তাদের এ প্রেরণা আমাকে পথ চলার জন্য অনেক সহজ করেছে। বিবিসি বাংলার জরিপে সেরা বিশটি গানের তিনটি আপনার লেখা। এমনটা হবে কি ভেবে ছিলেন জরিপের সময়? সর্বক্ষেত্রেই মানুষ একটা প্রেরণাকে সামনে নিয়েই এগিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এর মধ্যে সম্ভাব্য ক্ষমতার মধ্যে যদি সীমাবদ্ধতা না আসে তাহলে সেটি অর্জন হয়ত একটু সহজ। কিন্তু দেশের গানের যে সময়ের কথা বলা হয় সেটি ছিল আমাদের জন্য পরীক্ষার সময়। কারণ সেই সময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আমাদের আক্রমণ করে। কোন সময়টাকে বেশি উপভোগ করছেন? তরুণ নাকি এখনকার সময়? মানুষের জীবনটা এক পর্যায়ে যায় না সব সময়। হাজার নদীর বাংলাদেশ। একেকটা নদীর পাড়ে দাঁড়ালে একেক রকম সুর শোনা যায়। আবার সব নদীর সুর যখন এক সাগরমুখী হয় তখন সেটি আবার অন্যরকম হয়। কোন সুর এগিয়ে যাওয়ার কোন সুর ভাঙ্গনের। জীবনটাও ঠিক এমনই। আপনার লেখা গানের সংখ্যা কত? নিঃসন্দেহে বিশ হাজার কিংবা তারও বেশি হতে পারে। তবে আমি গানের সেই সংখ্যার দিকে এখন আর মনোযোগ দিতে চাই না। কারণ যতক্ষণ আমার ভেতর সৃজনশীল কোন চিন্তা থাকবে। কিংবা মনে হবে এ গানগুলো ব্যর্থ হবে না ততক্ষণ আমি চেষ্টা করে যাব। সবার দোয়া ও ভালবাসায় আমি এখনও লিখছি। আপনার লেখা প্রথম প্রেমের গানের গল্প শুনতে চাই? সত্য সাহা একদিন আমাকে চলচ্চিত্রে গান লিখব কিনা জানতে চান। তিনি আমাকে নির্মাতা সুভাষ দত্তের কাছে নিয়ে যান। তখন তিনি ‘আয়না অবশিষ্ট’ সিনেমা করছেন। সুভাষ দা জানতে চাইলেন আমি কে? আমি ভাল গান লিখছি বলে সত্য সাহা পরিচয় করে দেন। কিন্তু সুভাষ দার ভাষ্য ছিল যার এখনও দাড়ি-গোঁফ ওঠেনি সে লিখবে সিনেমার গান? পরে সত্য সাহা আমাকে একটা সুর দিলেন এবং দৃশ্য বুঝায় দিলেন। সেখান থেকে আমি ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি লিখি। সেই শুরু থেকে এখনও লিখে যাচ্ছি। বিস্তারিত সাক্ষাত্কারটি দেখুন জনকণ্ঠ এর ইউটিউব চ্যানেলে: গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সাক্ষাত্কার
×