ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সময়কে হাতের মুঠোয় এনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

সময়কে হাতের মুঠোয় এনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঙালীর জাতিরাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে তাঁর নামটি। সেই সুবাদে বাংলার স্বাধীনতার সমান্তরালে উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি। আর ইতিহাসকে আলিঙ্গন করে একইসঙ্গে চলছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উদ্্যাপানের নানা আনুষ্ঠানিকতা। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, শিল্পীর চিত্রকলায় কিংবা বিশিষ্টজনদের কথনসহ বহুমাত্রিক আয়োজন চলছে সে উদ্্যাপন। বুধবার তেমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। দুই উপলক্ষকে সঙ্গী করে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘হে মহামানব একবার এসো ফিরে’ শীর্ষক বক্তৃতা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, মৃত্যুকে জয় করে বেঁচে আছেন মুজিব। সময়কে হাতের মুঠোয় এনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু। সেমিনারের মূল প্রবন্ধে লেখক ও সংস্কৃতিজন অধ্যাপক কাজী মদিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ শতকের আধুনিক দর্শনÑধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনা বাঙালীর মননে মেধায় গেঁথে দিয়েছেন পরম যতেœ। আমাদের বিস্মৃত জাতিসত্তাকে তিনি জাগ্রত করেছেন। উজ্জীবিত করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর কাছে কেবল একজন ব্যক্তির নাম নয়। তিনি একজন অন্যান্য সাধারণ ব্যক্তিক্রমী মহামানব। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্ন সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নও করেছেন। এই মহামানব সময়কে হাতের মুঠোয় এনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান । আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু ব্যক্তি নন, তিনি শক্তি। তাঁর স্বপ্ন ছিল সুদূরপ্রসারী। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তাঁর আদর্শের মৃত্যু হয় নাই। মুজিব মৃত্যুঞ্জয়ী। মৃত্যুকে জয় করে বেঁচে আছেন মুজিব। বেঁচে থাকবেন চিরকাল। কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও আধুনিক রাষ্ট্রসত্তা ও বাঙালী জাতির পিতা। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালী জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। তিনি মৃত্যুকে ভয় পেতেন না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে সারা বাংলার মানুষ আর্তনাদ করে কাঁদছে। চিত্রাঙ্গদা নাটকের ৮৬তম মঞ্চায়ন ॥ স্বপ্নদল প্রযোজিত দর্শকসমাদৃত চিত্রাঙ্গদা নাটকের ৮৬তম মঞ্চায়ন হলো বুধবার। এদিন সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় নাটকটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্মিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন জাহিদ রিপন। সুরের ধারার পৌষ উৎসব ষড়ঋতুর বাংলাদেশে চলছে এখন শীতকাল। আর শীতকালের প্রথম মাস পৌষকে ঘিরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পিঠা-পুলির স্বাদ গ্রহণের সঙ্গে নাচ-গানসহ বহুমাত্রিক আয়োজনে প্রায়শই আনন্দে মেতে উঠছে রাজধানীবাসী। বুধবার সন্ধ্যায় তেমনই দৃশ্যের দেখা মেলে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে। এখানে সঙ্গীত সংগঠন সুরের ধারার আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি উৎসবের বাড়তি আকর্ষণ যুক্ত করে পৌষ মেলা। শিল্পীদের গানে উৎসবের আমন্ত্রণী ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছিল পৌষমেলার অঙ্গনে। শিল্পীদের গানের আমন্ত্রণে যারা এসেছিলেন তারা মেতে উঠেছিলেন পিঠা-পুলি খাওয়ায়। জমে উঠেছিল পৌষমেলা। শিল্পীদের গানে, কবিতার উচ্চারণে, পিঠা-পুলির মন মাতাল করা ঘ্রাণ মনে করিয়ে দিয়েছিল গ্রামের সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়লেও বাঙালীর মন থেকে হারিয়ে যায়নি গ্রামীণ জীবনের স্মৃতিমাখা উৎসবগুলো। তাই, বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত পৌষমেলা নাগরিক জীবনে প্রশান্তির স্পর্শ বুলিয়ে দিল। স্টেজে গান শুনে নাচ দেখে আর মেলার স্টলগুলোতে দল ঘুরে নগরবাসী উদ্যাপন করছে এই পৌষের উৎসব। সম্মেলক কণ্ঠে ‘লাখো লাখো শহীদের রক্তে রাঙা’ ও ‘মাটি তোদের ডাক দিয়েছে’ সুরের ধারার শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে এ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা ঘটে। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুরের ধারার সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
×