ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অ ন্য র ক ম

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

অ ন্য র ক ম

স্বর্ণপদকজয়ী ইঁদুরের মৃত্যু মাটির নিচে পুঁতে রাখা একের পর এক মাইন খুঁজে বের করে অসংখ্য মানুষের প্রাণ রক্ষা করা কম্বোডিয়ার স্বর্ণপদক জয়ী ইঁদুর মাগাওয়া মারা গেছে। সেটির বসয় হয়েছিল আট বছর। বিবিসি জানায়, মাগাওয়া তার পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে ১০০টির বেশি ল্যান্ডমাইন এবং অন্যান্য বিস্ফোরক খুঁজে বের করেছে। মানুষের পুঁতে রাখা মাইন খুঁজে বের করতে বেলজিয়ামের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এ্যাপোপো ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দেয়। ১৯৯০ সাল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া ওইসব ইঁদুরগুলোকে বলা হয় ‘হিরো র‌্যাটস’। সেগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সব থেকে সফল মাগাওয়া। কম্বোডিয়াজুড়ে প্রায় ৬০ লাখ মাইন পুঁতে রাখা আছে বলে ধারণা করা হয়। এ্যাপোপো জানায়, সপ্তাহান্তে ‘শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে’ মাগাওয়া। ‘আফ্রিকান জায়ান্ট পাউচ র‌্যাট’ মাগাওয়ার জন্ম তাঞ্জানিয়ায়। কম্বোডিয়ায় মাইন শনাক্তের কাজ শুরু করার আগে মাগাওয়াকে তাঞ্জানিয়ায় একবছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মাগাওয়াকে ছেড়ে দিলে সে তার আশপাশের এক লাখ ৪১ হাজার স্কয়ার মিটারের মধ্যে কোন মাইন থাকলে সেটি খুঁজে বের করতে পারত। যা প্রায় ২০টি ফুটবল মাঠের সমান। এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মাগাওয়া ছিল ৭০ সেন্টিমিটার লম্বা। সে তার প্রজাতির অন্যান্য ইঁদুরের চেয়ে মোটা ছিল। এ্যাপোপো কর্তৃপক্ষ বলেছেন, টেনিস খেলার একটি মাঠের সমান কোন জায়গায় মাইন আছে কিনা তা মাত্র ২০ মিনিটের ভেতর বের করে ফেলতে পারত মাগাওয়া। যে কাজটি একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে কোন মানুষকে করতে এক থেকে চার দিন লাগবে। বেলি-ড্যান্সিংয়ের ভিডিও নিয়ে বিতর্ক মিসরে একজন নারী শিক্ষকের বেলি-ড্যান্সিংয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশটিতে নারীদের অধিকার ও সামাজিকভাবে রক্ষণশীল মূল্যবোধ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এই শিক্ষককে তার কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয় ভিডিওর জেরে সংসারও ভেঙ্গে গেছে তার। নীল নদের ওপর নৌকায় অফিসের একটি অনুষ্ঠানে আয়া ইউসুফ নামের ওই শিক্ষকের নাচের ভিডিও করেছিলেন তারই এক সহকর্মী। ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায় মিউজিকের তালে তালে তিনি নাচছেন, তার সঙ্গে একজন পুরুষ সহকর্মীকেও দেখা যায়। ফারাওদের সময় থেকে বেলি-ড্যান্সিং চলে এলেও সাম্প্রতিক সময়ে জনসম্মুখে নারীদের এ নাচের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়। দিনের আলোয় করা ভিডিওটিতে দেখা যায়, ফুলহাতা জামা পরা আয়া ইউসুফের মাথায় স্কার্ফও রয়েছে। পশ্চিমাদের হিসেবে তিনি খুবই মার্জিত পোশাকে ছিলেন। তবে গত কয়েক সপ্তাহে আরব সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিওটি ব্যাপক আকারে শেয়ার হয়েছে আর বিষয়টি নিয়ে রক্ষণশীল মিসরীয়দের মধ্যে একটা ক্ষোভও রয়েছে। এ ঘটনার সমালোচকরা বলছেন, আয়া ইউসুফ নির্লজ্জের মতো কাজ করেছেন। টুইটারে একজন লিখেছেন, আমরা কি বাজে সময়ে বাস করছি এই ভিডিও থেকে তা পরিষ্কার বোঝা যায়! সবকিছুই এখন জায়েজ। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, মিসরে শিক্ষার হাল খুবই নিচে নেমে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি। আয়া ইউসুফ বলছেন, তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন যে আর কখনও তিনি নাচ করবেন না আর তার এই ভাগ্য পরীক্ষার সময়টাতে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নীল নদের একটা নৌকায় মাত্র ১০টা মিনিট আমার জীবনটা শেষ করে দিল। সাজা কমানোর প্রলোভন দিয়ে... হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাজা পেয়েছিলেন এক আসামি। সেই সাজা কমিয়ে দেয়ার পক্ষে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন এক নারী বিচারক। এবার সেই নারী বিচারককেই দেখা গেল আসামির সঙ্গেই কারাগারের ভেতরে ঘনিষ্ঠ অবস্থায়! যদিও ওই নারী বিচারক আসামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে বিচারকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে মারিয়েল সুয়ারেজ নামে এক নারী বিচারকও ছিলেন। কমিটির সব বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পক্ষে মতামত দিলেও নারী বিচারক সুয়ারেজ যাবজ্জীবনের বিরোধিতা করে আসামির শাস্তি কমানোর পক্ষে মত দেন। -রয়টার্স
×