ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইবিতে প্রথমবার পৌষ উৎসব

প্রকাশিত: ২১:১২, ১২ জানুয়ারি ২০২২

ইবিতে প্রথমবার পৌষ উৎসব

ইবি সংবাদদাতা ॥ সূর্য উঠেনি। বইছে হীম হীম শিতল বাতাস। হরেক প্রজাতির পিঠার সুবাসে মুখরিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন এলাকা। পিঠা খেতে জড়ো হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ যেন এক আনন্দ মেলা। ৩৭ প্রজাতির পিঠা নিয়ে এমনই আয়োজন করেছে বাংলা বিভাগ। ‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতা ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’ স্লোগানে প্রথম বারের মত পৌষ উৎসব উদযাপন হলো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এমনটিই প্রত্যাশা আয়োজকদের। মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরওয়ার মোর্শেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুব মুর্শেদ, প্রফেসর ড. রশিদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ড. ইয়াসমিন আরা সাথীসহ বিভাগের অনান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পিঠা প্রদর্শনীর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। আয়োজকেরা জানান, পৌষ উৎসবের অংশ হিসেবে পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয়েছে। এতে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে বানানো ৩৭ রকমের পিঠা স্থান পেয়েছে। এসব পিঠার মধ্যে পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, বরফি, দুধ পিঠা, প্রেমপত্র পিঠা, ভালবাসার গোলাপ, ডিম সুতি পিঠা বকুল পিঠা, শঙ্খ পিঠা সিদ্ধ কুলি, দুধ চিতই অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা খানম আশা বলেন, শীত এতেই আমাদের দেশে বিভিন্ন আয়োজনের ধুম পড়ে। শীতকালকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান আয়োজন থাকলেও আমাদের ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন চোখে পড়ে না। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতঃফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে গভীররাত পর্যন্ত করা কষ্ট স্বার্থক মনে হচ্ছে। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রতাশ্যা। বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, পৌষের সকালে সবার নতুন সাজ দেখে খুব ভাল লাগছে। তরুণ প্রজন্ম এরকম ভাল কাজ উপহার দিবে এটাই প্রত্যাশা। এই ব্যতিক্রমী আয়োজন সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
×