ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ॥ মুমিনুল

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ১২ জানুয়ারি ২০২২

ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ॥ মুমিনুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরের শুরুটা হয়েছে এবার স্বপ্নের মতো। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার টেস্ট জয় মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট জয়ের সেই অবিস্মরণীয় কীর্তিকে আরও বড় ইতিহাসে পরিণত করার দারুণ সুযোগ ছিল ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টে। কিন্তু ৩ দিনেই ইনিংস ও ১১৭ রানে হেরে গিয়ে সিরিজ জেতা আর হয়নি। ফলে ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে ২ টেস্টের সিরিজ। শুরুটা অবিস্মরণীয় হলেও শেষটা হতাশায়- তবে এতে আক্ষেপ নেই অধিনায়ক মুমিনুল হকের। তিনি স্বপ্ন দেখছেন অচিরেই বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের। কারণ ক্রিকেটারদের হৃদয়ে এখন বিশ্বাস জন্মেছে বিদেশে টেস্ট জেতা সম্ভব। আর সেটি হলে সিরিজ জয়ও খুব দূরে নয়। ২০০৯ সালে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ দল। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। এরপর জিম্বাবুইয়েতে গত বছর একমাত্র টেস্ট জিতেছে। এছাড়া কখনও সিরিজের ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরা হয়নি বিদেশ থেকে। সম্ভাবনাও তৈরি হয়নি কখনও। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় এবং ২০১৩ সালে জিম্বাবুুইয়েতে ১-১ সমতায় সিরিজের ট্রফি ভাগাভাগি করেছে শুধু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে। কিন্তু ২০০৯ সালের পর এই প্রথম কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জেতার মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয়। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ড্র করলেই হতো। কিন্তু তা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। সিরিজ সমতায় শেষ হওয়ার পর মুমিনুল বলেন, ‘এখন আমি ও দলের সবাই এখন বিশ্বাস করতে পারছি, আমাদের সামর্থ্য আছে। বিদেশে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায়। এখন একটা টেস্ট জিতলাম, পরে আরেকটা টেস্ট জিতব, এভাবে এক সময় আমরা সিরিজ জিতব। তো ওই বিশ্বাসটা মনে হয়, সবার ভেতরে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম টেস্ট জেতাতে মনে হয় ওই বিশ্বাসটা সবার ভেতরে এসেছে।’ দেশের বাইরে টেস্ট জয়টাই যেখানে আকাশ-কুসুম কল্পনা, সেখানে এবার কঠিন নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে জিতে অবিশ্বাস্য এক ঘটনারই জন্ম দিয়েছে টাইগাররা। ২০১৯ সালে টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই স্বপ্নটা দেখছিলেন মুমিনুল। অবশেষে তা সত্য হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। তবে দলকে নিয়ে উন্নতির অনেক কিছুই আছে। এ বিষয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের টেস্ট দল নিয়ে তো কাজের অনেক বাকি আছে। উন্নতির তো অনেক কিছুই বাকি আছে, অনেক কিছু করা যাবে। আপনারা জানেন, আমি খুব কঠিন সময়ে নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। তখন তো আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার। মানুষের বিশ্বাসটা তো আসে চোখে দেখার (করে দেখানোর) জন্য। আমার মনে হয়, প্রথম টেস্ট জেতা খুবই দরকার ছিল।’ ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন বিশ্বাসটা এসেছে যেকোন দলকে টেস্টে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে দেয়া সম্ভব। বাংলাদেশ যদি ভবিষ্যতেও যে কোন সিরিজে একটি করে টেস্ট জিততে সক্ষম হয় তাহলে একটা সময় সিরিজও জিততে পারবে বলে আশা করছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক তো অনেক কিছুই আছে। প্রথম টেস্ট যদি দেখেন, আমি সব সময় সংবাদ সম্মেলনে বলি, আমাদের দলীয় ফল তখনই ভাল হয়, যখন আমরা সম্মিলিতভাবে ভাল খেলি। সেটা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং যাই বলেন। আমার মনে হয়, এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমার মনে হয়, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। আমরা যতটা আশা করেছিলাম, বোলিংটাও তেমন করতে পারিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের সেঞ্চুরি অসাধারণ একটা ইনিংস। সোহানও খুব ভাল করছিল।’
×