ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান

বর্তমান সরকারের ১৩ বছর ॥ একটি মূল্যায়ন

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ১২ জানুয়ারি ২০২২

বর্তমান সরকারের ১৩ বছর ॥ একটি মূল্যায়ন

গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের তৃতীয় মেয়াদের তিন বছর পূর্তি এবং টানা তিন মেয়াদের ১৩ বছর পূর্তি হলো। এই ১৩ বছরে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের কতটা সমষ্টিগত এবং ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের উন্নয়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা সবার দায়িত্ব। আমরা যদি ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটা তুলনামূলক চিত্র পাই, তাহলে একটা সম্যক ধারণা হবে। সে লক্ষ্যে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে- ক) জাতীয় বাজেট- ২০২১ সালে ছিল বাংলাদেশের রেকর্ড সৃষ্টিকারী জাতীয় বাজেট, যা অঙ্কে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে জাতীয় বাজেট ছিল ৬১ হাজার ৬ কোটি টাকা। খ) জিডিপির হার- ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপির হার ছিল এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫.২ শতাংশ। করোনাকালে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল নিম্নমুখী। গ) জিডিপির আকার- ২০২১ সালে জিডিপির আকার ৩৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যা ২০০৬ সালে ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। ঘ) মাথা পিছু আয়- ২০২১ সালে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। যা ২০০৬ সালে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। ঙ) রেমিটেন্স আয়- ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০০৬ সালে ছিল ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চ) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভÑ ২০২১ সালে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৮.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০০৬ সালে ছিল ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ছ) রফতানি আয়- ২০২১ সালে ৪৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০০৬ সালে ছিল ১০.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জ) আইসিটি খাতে রফতানি আয়- ২০২১ সালে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এর আগে কখনও হয়নি। দ্য ইকোনমিস্ট ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলেছে, ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২) তৈরি পোশাক রফতানি- বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, চীন প্রথম এবং ভিয়েতনাম তৃতীয়। ৩) খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন- বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চাল ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় ও আলু উৎপাদনে সপ্তম। ২০০৬ সালে খাদ্যে পরিচিত ছিল ঘাটতির দেশ হিসেবে। ৪) দারিদ্র্যের হার- করোনাকালের আগে দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছিল ২০ শতাংশের নিচে এবং অতিদারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৫ শতাংশ এবং অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.২৩ শতাংশ । ৫) সমুদ্রসীমা জয়- আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ১,১,৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ৬) পদ্মা সেতু- ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশের অধিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন যান চলাচলের জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বরং বাধাগ্রস্ত করার জন্য এর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ৭) মেট্রোরেল- ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এম আর টি-৬ লাইনটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে মেট্রোরেলের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ৮) বীর নিবাস- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ আবাসনের লক্ষ্যে ৪,১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধান করা হয়েছে। এতে ৩,০০০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাথমিকভাবে আবাসন সুবিধা পাবেন। ৯) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী- ১৪৩টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ উপকারভোগী প্রায় সোয়া কোটি এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ কোটি। ১০) ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে জমি-গৃহ প্রদান- মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬৯ হাজার ৯০৫টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এর আগে এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ১১) বিদ্যুত- দেশের জন্যসংখ্যার প্রায় শতভাগকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। যা ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল শতকরা ৪৭ ভাগ। ১২) ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারকারী- ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সিমের সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি এবং মোবাইল ব্যবহারকারী সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। ২০০৬ সালে ছিল যথাক্রমে ৩৫ লাখ এবং ২ কোটি ১৮ লাখ। ১৩) গড় আয়ু- বর্তমানে ৭৩.৬ বছর। যা ২০০৬ সালে ছিল ৬৫.৪ বছর। ১৪) মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন- জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ এর আগে কখনও নেয়া হয়নি। ১৫) কোভিভ-১৯ মহামারী অভিঘাত নিরসনে সরকারী প্রণোদনা- ২৩টি প্যাকেজে মোট ১,১২,৪৪১ কোটি টাকা প্রদান। ১৬) কোভিভ টিকা- ১ম ডোজ ৭,৪৪,৮৩,০৭২ এবং ২য় ডোজ ৫,২৮,৪৩,৩৫৫ (২ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত) জন। ৯ কোটির বেশি ডোজ টিকা মজুদ আছে। ১৭) শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার- শিশু মৃত্যুর হার ২১ ( প্রতি হাজারে ) এবং মাতৃমৃত্যুর হার ১,৬৯ (প্রতি লাখে)। যা ২০০৬ সালে ছিল যথাক্রমে ৫০ এবং ৩,৪৮। ১৮) ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা- দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ১ কোটি মানুষের। ১৯) আমার শহর, আমার গ্রাম- শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো। ইতোমধ্যে গ্রামে শহরের প্রায় সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দ্রুত সম্পন্নের পথে ১০ মেগা প্রকল্প ১) পদ্মা বহুমুখী সেতু- এ বছরের জুন মাসেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল আকাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু। অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে সরাসরি রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সেতু জিডিপিতে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে অবদান রাখবে। ২) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র- এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩) এলএনজি টার্মিনাল- এর ধারণ ক্ষমতা হবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস। এই টার্মিনাল থেকে দিনে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। ৪) রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র- পায়রাতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। রামপাল, পায়রা, বাঁশখালী, মহেশখালী এবং মাতারবাড়িতে আরও মোট ৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। ৫) পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর- বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সামুদ্রিক বন্দর। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ৬) দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন- ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ লাইনটি চালু হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী খুলনাসহ সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। কক্সবাজারে পর্যটনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটবে। ৭) মেট্রোরেল- এ বছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ অংশে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, মেট্রোরেল রাজধানী ঢাকার পরিবহন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। ৮) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল- আগামী অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে চালু হবে দেশের প্রথম টানেল। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের তিন বছর পূর্তি ও চতুর্থ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর ২৮ মিনিটের ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণে তাঁর সরকারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্তমান এবং আগামীদিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সকল কূপমন্ডূকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণই ক্ষমতার উৎস। তিনি তাঁর ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা পুনরায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গীবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। ইন্টারনেট বিপ্লবের পর বিশ্ব এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে, তেমনি খুলে দেবে সম্ভাবনার দ্বার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে বিপুলসংখ্যক তরুণ। এই তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের অভূর্তপূর্ব উন্নয়নের সুফল আজ দেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছেন। এজন্য দেশের নাগরিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন দেশবাসীর দায়িত্ব চলমান এ উন্নয়ন যেন কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনের সকল ঝুঁকি নিয়ে, রাতদিন পরিশ্রম করে, সঠিক পরিকল্পনা এবং সরাসরি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে দেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন দেশের সকল মানুষের, দলমত নির্বিশেষে তাঁর পাশে দাঁড়ানো একটি কর্তব্য দায়িত্ব। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। আমাদের চোখে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন। তাই এখন নজর দিতে হবে- ১) প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। আমরা সবাই যদি দুর্নীতিকে না বলি, তবেই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ২) সুশাসন বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে নিশ্চয়ই আমরা পৌঁছে যাব নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এক আবাসভূমিÑ উন্নত বাংলাদেশে। লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×