ইংরেজী বছরের শেষ দিন থার্টিফার্স্ট নাইট অনেকে অনেকভাবে পালন করে থাকেন? কেউ নাচ-গান, ডিজে পার্টি, আড্ডা আর মজা মাস্তিতে কাটান। কেউবা ঘুরতে বের হন প্রিয় মানুষদের সঙ্গে। কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে নেশায় মেতে থাকেন? এসব না করে ভিন্ন রকম এক থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী শামীমা সীমা। সবাই যখন নতুন বছর উদযাপনের আনন্দে মাতোয়ারা, তখন তিনি নগরীর অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। শামীমা সীমার বাড়ি ইলিশের বাড়িখ্যাত চাঁদপুর জেলায়। চবি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। চবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন শামীমা সীমা? বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় হলে ছাত্রীদের নির্বিঘেœ থাকার ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সহযোগিতা করে থাকেন সীমা? এ ছাড়া বিভিন্ন সময় এতিমদের মধ্যে খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, ঈদবস্ত্র বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকেন শামীমা সীমা।
ইংরেজী নতুন বছর উপলক্ষে শামীমা শীতার্ত, দুস্থ, অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করার উদ্যোগ নেন। অসহায়দের মুখে হাসি ফুটাতে নববর্ষে এমন উদ্যোগ। বছরের শেষ দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে, চবি ক্যাম্পাসে ও হাটহাজারীতে ঘুরে ঘুরে ৫০টি কম্বল এবং যাবতীয় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি? অনুভূতি প্রকাশ করে শামীমা সীমা বলেন, নববর্ষে অনেকে অনেক রকম আয়োজন করে থাকে। আমি চেয়েছি বছরের শেষ দিনটি আমার অসহায়দের সঙ্গে কাটুক। আমার এই ছোট্ট উপহার যদি তাদের মুখে হাসি ফোটায় সেটা হবে আমার জন্য আনন্দের। তাদের সহযোগিতা আমার জন্য ইবাদত। নতুন বছর তাদের জন্য সুখময় হোক। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
