ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চারদিন পর মা ও মেয়েসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২২:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২২

চারদিন পর মা ও মেয়েসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনার চারদিন পর নিখোঁজদের মধ্যে মা-মেয়েসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। রবিবার সকালে ও বিকেলে বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকায় তাদের লাশ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশগুলো উদ্ধার করেন। রবিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৬ জনের লাশ উদ্ধারের পর নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এ সময় স্বজন হারিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০), মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৬), কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন ও জোসনা। অপর দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। লাশ দুটি নদীর তীরে রাখা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশ বলছে, ৮ জন নিখোঁজ ছিল।। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ১০ জনের নিখোঁজের একটি তালিকা আমরা পেয়েছি। এদের মধ্যে রবিবার পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার হলো। আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছে। বক্তাবলী নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মোরশেদ মোঃ জিয়াউল আলম জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীতে ছয়টি লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। চারজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুটি লাশ নদীর তীরে রাখা হয়েছে। শনাক্ত হলেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ট্রলারকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনায় নৌপুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামি লঞ্চের মাস্টার মোঃ কামরুল হাসান, চালক মোঃ জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানী মোঃ জসিমকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। রবিবার দুপুরে তাদের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
×