ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনাফা তোলার চাপে শেয়ারবাজারে দরপতন

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ৯ জানুয়ারি ২০২২

মুনাফা তোলার চাপে শেয়ারবাজারে দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরে শেয়ারবাজারে টানা উর্ধগতিতে অবশেষে ছেদ পড়ল। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই সূচকের পতন ঘটেছে। ভাল-মন্দ সব ধরনের শেয়ারেরই দিনটিতে পতন ঘটেছে। তবে ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। অন্যখাতগুলোতে কিছুটা মিশ্রাভাব ছিল। সকালে সূচক বাড়লেও শেষ বিকেলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৮৩ পয়েন্ট। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে টানা ছয় কার্যদিসব পর পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর সূচক পতন হয়েছিল। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবার বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। যা অব্যাহত ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু তারপর থেকে ব্যাংকের পাশাপাশি বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে। এই শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন। যা অব্যাহত ছিল দিনের বাকি লেনদেন পর্যন্ত। গত কয়েক মাসে টানা পতনের পর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে সূচকের উর্ধগতি ফিরে আসে। কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল সবার মনে। অল্পদামে কেনা শেয়ার বিক্রির কারণে রবিবারের সূচক পতনকে দরপতন বলছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এটা মূল্য সংশোধন’। তাদের মতে, টানা ছয়দিন উত্থানে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পর রবিবার মুনাফা তোলা হয়েছে। তাই সূচক কমেছে, এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। রবিবারে শেয়ারবাজারে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৪ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৩ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৩১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৪টির। আর অপরিবর্তিত ছিল২৪টির। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ১০২টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ২৯ লাখ ২২ হাজার ২৩৩ টাকার শেয়ার।
×