স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী শীতকালীন পিঠা উৎসব। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গুড়’ জেলার ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বাগেরহাট প্রেসক্লাব ভবনের তৃতীয়তলায় বিকেলে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী হাতে তৈরি নানাপ্রকার পিঠার বাহারি আয়োজনের এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহম্মেদ, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আসিফ উদ্দিন রাখি, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আহাদ উদ্দিন হায়দার এবং উদ্যোক্তা গ্রুপ ডু ইট ইয়োর সেলফ (ডিআইওয়াই) এর চিফ অ্যাডমিন মাসুমা রুনা প্রমুখ। কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইনে পিঠা বিক্রি করে আসছেন নারী উদ্যোক্তারা। সাত নারী উদ্যোক্তা হাতে বানানো সেমাই পিঠা, খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা, ভাপা কুলি, সেতু কুলি, চিতাই, পাঠিশাপটা, শিয়াই ও হাঁসের মাংস, রসের পায়েস, নারকেলের সন্দেশসহ নানা ধরনের পিঠা স্টলে নিয়ে এসেছেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, পিঠা গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য। বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবহন করে এই পিঠা। এটি ছিল এক সময় গ্রামকেন্দ্রিক। যৌথ পরিবারে মেয়ে জামাই নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে পিঠা তৈরি করত। তখন বাড়িতে এক ধরনের উৎসবের আমেজ তৈরি হতো। তখনকার গ্রাম বাংলার মা চাচিদের হাতে বানানো পিঠা যারা এখন দেখেননি তারা এর ফ্লেবারটা উপলব্ধি করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: