ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেয়ালচিত্রসহ নানা আয়োজন

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ৯ জানুয়ারি ২০২২

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেয়ালচিত্রসহ নানা আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিলনায়তনের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে দেয়ালচিত্র। প্রতিটি দেয়ালচিত্রের সঙ্গে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন এসব দেয়ালচিত্র। ইতিহাস আশ্রয়ী বিভিন্ন তথ্যের সঙ্গে চিত্রকর্মের সংযোগে বেড়েছে সেগুলোর সৌন্দর্য্য। বিভিন্ন ছবি ও তথ্যের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে ফুল, পাখি, লতা-পাতা। কোনটির আকৃতি আবার কোনটি সাজানো হয়েছে দেশের মানচিত্রের আদলে। অধিকাংশ দেয়ালচিত্রে বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সূত্র ধরে উদ্ভাসিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বর্ণিল জীবনচিত্র। বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামনির্ভর কিছু দেয়ালচিত্র। সেখানে বিশেষভাবে মেলে সাত বীরশ্রেষ্ঠকে। শনিবার বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে উপস্থাপিত দেয়ালচিত্রগুলো বিশেষ আগ্রহ নিয়ে অবলোকন করছিলেন শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী দর্শকবৃন্দ। এই প্রদর্শনীর পাশাপাশি ক্যানভাস রাঙিয়েছে খুদে চিত্রকররা। চিত্রিত হয়েছে বিচিত্র বিষয়ের ছবি। একইভাবে কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সোনামণিরা। অনুষ্ঠিত হয়েছে চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এভাবেই দেয়ালচিত্র প্রদর্শনী, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের আয়োজন করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তির প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে ছিল নাচ ও গানে সাজানো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইমরুল চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের পরিচালক বকামাল হোসাইন। সভাপতিত্ব করেন বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি আবদুস সামাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমরুল চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ ধরনের আয়োজন বিশেষ গুরুত্ববহ। দেয়ালচিত্র তৈরি করা, ছবি আঁকা কিংবা আবৃত্তি করাÑসবকিছুর সঙ্গেই সম্পৃক্ত রয়েছে সৃজনশীলতা। আর এ ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে। সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি ঝোঁক বাড়বে। আলোকিত মানুষ গড়ার যে লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করছে এ ধরনের আয়োজন সেই লক্ষ্যপূরণে সহায়কা ভূমিকা পালন করবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ৯জন বিজয়ীকে, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির ঢাকা মহানগরীর ইফনিটসমূহের পাঠকদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ১২ বিজয়ীকে এবং দেওয়ালপত্রিকা প্রদর্শনীতে ৩টি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ২৪ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ‘হায়দার রিজভী : সিনেলোকের পরমপুরুষ’ ॥ প্রকাশিত হলো রাজীব আহসান সম্পাদিত ‘হায়দার রিজভী : সিনেলোকের পরমপুরুষ’ শিরোনরামের গ্রন্থ। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। আলোচনায় অংশ নেন চলচ্চিত্রকার শামীম আখতার, নাট্যজন মামুনুর রশীদ এবং কেরামত মওলা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং চারুশিল্প ও চলচ্চিত্র সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ। বইটির প্রকাশনী সংস্থা প্যান্ডোরাস বক্সের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক অনুপম ঘাগ্র। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলোকচিত্রী মুনিরা মোরশেদ মুননী। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এরপর আলোচকরা অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হায়দার রিজভীর বর্ণাঢ্য জীবন এবং তার নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ এবং প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা পর্ব শেষে হায়দার রিজভী নির্মিত ‘প্রাসিয়ান অফিসার’ এবং ‘নার্সারি রাইমস’ নামের দুটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
×