ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তৈমুর-আইভীর

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ৯ জানুয়ারি ২০২২

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তৈমুর-আইভীর

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। প্রভাবশালী ওসমান পরিবারঘনিষ্ঠ চার ইউপি চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলমের পক্ষে প্রচারে নামার বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগর ছাত্রলীগের নেতারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে প্রচারে অংশ না নেয়ায় ওই কমিটি বাতিল করা হয়েছে। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের কথার লড়াইও বেশ জমে উঠেছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে শনিবার উভয় প্রার্থী প্রচার চালান। ২৭ ওয়ার্ডের ১৮২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দুপুরের পর থেকে চারদিকে মাইকিং শুরু হওয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইভী শনিবার সকাল থেকে সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌড়াপাড়া এসিআই ফ্লাওয়ার মিলের মোড় থেকে প্রচার শুরু করেন। বিকেলে তিনি ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী। বৃহস্পতিবার তৈমুরের প্রচারে তা প্রমাণিত হয়েছে। তৈমুর আলম খন্দকার সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের প্রার্থী। অপরদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। এ সময় তৈমুর আলম বলেন, আমি দলের প্রার্থী না, জনগণের প্রার্থী। তৈমুর আলম গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী- আইভী ॥ সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার সকাল থেকে প্রচার শুরু করেন। পরে তিনি বিকেলে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ সময় ডাক্তার আইভীকে ফুলের তৈরি নৌকা ও ফুল দিয়ে নেতাকর্মী ও ভোটারা স্বাগত জানান। পুরুষ ও নারী ভোটাররা নৌকা প্রতীক নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার বন্দরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম প্রচার চালিয়েছেন। জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমানের চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তার প্রচারে যোগ দেন। এতে প্রমাণিত হয়, তৈমুর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী। শুক্রবারের প্রচারে তা প্রমাণিত হয়েছে। তৈমুর আলম খন্দকার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের প্রার্থী। তিনি জনগণের প্রার্থী নন। সে বিএনপিরও প্রার্থী নন। ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হলো কি না জানি না। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সকলেই আমার সঙ্গে আছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড লেভেলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে মাঠে কাজ করছে। একমাত্র সে (শামীম ওসমান) হয়তো বাইরে গিয়ে তার লোকজনকে প্রভাইড করছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা (হাইকমান্ড) তৈমুর আলমের প্রচারে কারা কারা এসেছে সব দেখেছে। পত্রপত্রিকায় সব নিউজ এসেছে। তারা (হাইকমান্ড) দেখছে, তারা সব দেখবে। তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করি জনগণের শক্তি নিয়ে। জনতাই আমার শক্তি। দল আমার মনোবল। সব কিছু মিলে আমি নির্বাচন করছি। গডফাদারের দিকে তাকিয়ে আমি নির্বাচন করছি না। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার আইভী বলেন, তারা কালকে তৈমুর আলমের প্রচারে প্রকাশ্যে ছিল। এতে প্রমাণিত হয় কারা তৈমুর আলমকে দাঁড় করিয়েছে। কারা তার পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। আমি দলের (বিএনপির) প্রার্থী না, আমি জনগণের প্রার্থী- তৈমুর ॥ স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার শনিবার সকাল থেকে সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়েছেন। এ সময় তৈমুর আলম প্রচারে গেলে ভোটার তাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সর্বস্তরের জনগণ মাঠে নেমেছে। প্রধানমন্ত্রী যদি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হতেন, তাহলে আমি তার কাছে ভোট চাইতে যেতাম। আমার দৃঢ় বিশ^াস, তিনি আমাকে ভোট দিতেন। তিনি আরও বলেন, বিগত ৫০ বছরের স্বচ্ছ এবং নির্ভেজাল ও গণমুখী কর্মকা-ের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকেই ভোট দিতেন। তৈমুর আলম বলেন, মানুষ যখন একটা প্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছিল, তখন গণমানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে আমি প্রার্থী হই। নারায়ণগঞ্জের আপামর জনগণ, খেটে খাওয়া মানুষ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, ছাত্র ও মহিলা সমাজ সকলেই দলমত নির্বিশেষে আমার পক্ষে নেমেছে। শামীম ওসমান ও আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো আওয়ামী লীগের ভোটও চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও সমর্থন চাই। ভোটারদের কাছে ভোটার স্লিপ ॥ নাসিক নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার রয়েছেন। ২৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে এখন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দিচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তথ্য নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র, ভোটার নম্বরসহ স্লিপ দিচ্ছেন। কোন কোন প্রার্থীর নিজদের ছাপানো পোস্টারে ভোটকেন্দ্র ও ভোটার নম্বর লিখে দিচ্ছেন ভোটারদের। মেয়র পদে অন্য ৫ প্রার্থীর প্রচার ॥ নাসিক নির্বাচনে আইভী ও তৈমুর ছাড়াও আরও পাঁচ মেয়র প্রার্থী বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তারাও দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি। কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার ॥ ২৭ ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে, অলি-গলিতে প্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি, তারা বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় ও চায়ের দোকানগুলোতে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। সাধারণ ভোটারদের বক্তব্য ॥ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কাকে ভোট দেবেন- তা নিয়ে নানা হিসেবে-নিকেশ ও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন ভোটাররা। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ইব্রাহিম খলিল বলেন, যিনি অভিভাবকের মতো কাজ করতে পারবেন, যিনি প্রতিবেশীসহ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন- এমন প্রার্থীকেই আমরা ভোট দেব। ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার লাবনী আক্তার বলেন, যারা এলাকা থেকে ইভটিজিং ও চাঁদাবাজ দূর করতে পারবেন- এমন প্রার্থীকেই আমরা বিজয়ী করতে চাই। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, যে প্রার্থী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে উন্নয়ন করবেন তাকেই আমরা বেছে নিতে চাই। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মহিউদ্দিন বলেন, এক সময় আমাদের এলাকায় রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল খুবই করুণ, এখন রাস্তাঘাটের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই যিনি এলাকায় উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে পারবেন বলে মনে হয়- এমন প্রার্থীকেই আমরা বিজয়ী করতে চাচ্ছি। দলের ভেতরে থেকে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে বা দলের ভেতরে থেকে সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শনিবার দুপুরে নগরীর চাষাঢ়ার বালুর মাঠস্থ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন। নানক বলেন, দলের ভেতরে কোন দ্বিধাদ্বন্দ¦ বা বিভক্ত নেই। এই সভায় জেলা ও মহানগরের সকল নেতৃবৃন্দরা আছেন। এখানে ব্যক্তি কোন বিষয় নয়। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করবেন কি না- তার ওপর বর্তায়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দলের কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, যারা নৌকা নিয়ে জয়ী হয়েছেন, তারা নৌকার পক্ষে কাজ না করলে নিজের সঙ্গে বেঈমানী করা হবে। জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে নানক বলেন, আমরা তাদের সমর্থন আশা করি। নৌকা সমর্থনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ সদর আসনে পাস করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। অথচ তারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ¦ী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টি সিটি নির্বাচনে তারা একজনকে সমর্থন দিয়েছে। রাজনীতি কোন শৃঙ্খলার উর্ধে নয়। কেই অপরিহার্য নয়। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেবে, আমরা তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন কিছ্ইু করার থাকবে না। জাতীয় পার্টি তৈমুরের পক্ষ নিয়েছেন। জোটগতভাবে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা জাতীয় পার্টির সঙ্গে কথা বলেছি। আজকালের মধ্যে তারা গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পরিষ্কার করবেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, মীর্জা আযম, এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের আরজু রহমান ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ। মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ॥ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘাষণা করা হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শনিবার এ কমিটি বাতিল করে। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাসনাত রহমান বিন্দু। বিলুপ্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছিম মাহমুদ তপন বলেন, মহানগর কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বাতিল করা হয়েছে। অন্য কিছু নয়। তবে একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনে আওয়াম লীগের মেয়র প্রার্থী ডাক্তার আইভীর প্রচারে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির নেতারা আইভীর পক্ষে প্রচারে নামলেও ছাত্রলীগ নেতারা আসেননি। আবার মহানগর ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। এসব কারণেই এ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইভীর পক্ষে মাঠে পরশ ॥ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, সিটি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আইভী গত দশ বছরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো, পুকুর, জলাশয় সংরক্ষণ, পার্কসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সবাইকে আবারও নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে মহানগর যুবলীগ আয়োজিত কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করে আসছেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সৎ, যোগ প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন। পরশ আরও বলেন, ডাক্তার আইভীর বড় শক্তি হচ্ছে তার ব্যক্তিগত ইমেজ ও ভাবমূর্তি। তৃণমূলের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্কের কারণে তার ব্যক্তিগত একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। আইভী দুর্নীতির বিরুদ্ধে অকপটে কথা বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেন এবং যে প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবায়ন করেন বলেই সিটিবাসীর কাছে তিনি অসম্ভব গ্রহণযোগ্য। তার ব্যক্তিগত ভোট ব্যাংক নৌকা প্রতীকে প্রার্থীকে আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে ডাক্তার আইভীর বিজয় নিশ্চিত হবে, ইনশাল্লাহ! নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন নিখিল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান। আগে শেখ ফজলে শামস পরশ এক নং ওর্য়াডে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আইভীর পক্ষে ভোট চান।
×