ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সমাবেশে ফখরুল

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ৯ জানুয়ারি ২০২২

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে অর্থহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি কিসের সংলাপ ডেকেছেন? এই সংলাপ ইতোমধ্যেই অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই সংলাপে কোন লাভ হবে না। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, যদি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। তাই সরকারের প্রতি আমাদের পরিষ্কার কথা, সবার আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তারপর পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে জনগণের ভোটের ক্ষমতাকে ফিরিয়ে দিন। এটাই একমাত্র পথ, এর বাইরে আর কোন পথ নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপের নামে আবারও সরকার ক্ষমতায় থাকার নানা কলাকৌশল শুরু করছে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি; এই দুইটিকে এক করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আর দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, রাজনৈতিক ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানাতে চাই Ñআসুন, আজকে বৃহত্তর স্বার্থে আবার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের বাংলাদেশ, একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করি, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করি। ফখরুল বলেন, ১৩ বছরে দেশে সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হয়েছে। ৪ কোটি মানুষ বেকার হয়ে গেছে, ৯ কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে এবং বড় লোক বড়লোক হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের লোকেরা অন্যায়ভাবে সমস্ত সুযোগ গ্রহণ করছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সমগ্র দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্যে তিনি বলেছেন, তাঁর শাসনামলে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন এবং ১৯৪১ সাল পর্যন্ত তাঁকে থাকতে দেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ সরকার মুক্তি না দিলেও খালেদা জিয়া একদিন মুক্তি পাবে। এর পর এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তাদের ডানে-বামে যাওয়ার জায়গা নেই, বিদেশে যাবেন ভিসাও বন্ধ। তাই এখনও সময় আছে বর্তমান সরকারকে সাবধান হওয়া উচিত। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে মানব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, মশিউর রহমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, সেলিম ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, দেওয়ান মোঃ সালাহউদ্দিন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী, সদস্য আমীরুল ইসলাম আলীম, মীর নেওয়াজ আলী।
×