ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে আইডিইবির আলোচনা

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ভারতের সহযোগীতা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ৮ জানুয়ারি ২০২২

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ভারতের সহযোগীতা প্রয়োজন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে ভারতের সহযোগীতা আরও বেশি প্রয়োজন। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে। ওই সময়ে ভারতের সেই সহযোগীতার কথা বাঙালি জাতি কখনো ভুলবে না। একইভাবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের বাণিজ্য বড় হওয়ার পাশাপাশি ঘাটতিও বেড়েছে। সেই ঘাটতি ভারতের অনুকূলে। এ অবস্থায় দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হলে উভয়দেশ লাভবান হতে পারবে। শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন। আইডিইবি’র প্রেসিডেন্ট একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছরে দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ট্যারিফ-নন ট্যারিফ, এ্যান্টি-ডাম্পিংসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কিছু সঙ্কট রয়েছে। এগুলোর দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া দেশ এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশটির সহযোগীতা বেশি প্রয়োজন। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তিখাত এখন বিশ্বে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। সেই দেশটির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা গেলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবেও সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. মশিউর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুুক্তিযুদ্ধে ভারত সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। সেই সহযোগীতার ভিত্তিতেই আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য, অবকাঠামোগত, বিনিয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তাদের সহযোগীতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় অংশীদার ভারত। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। ট্যারিফ-নন ট্যারিফসহ যেসব বিষয়ে সমস্যা রয়েছে তা আন্তরিকভাবে সমাধানে উদ্যোগী হবে দুইদেশ। শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, প্রযুক্তি উন্নয়নে দুইদেশ এখন নলেজ শেয়ারিং করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময় ভারত পাশে থেকে কাজ করবে। তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতের সহযোগীতা আরও বাড়বে। একেএমএ হামিদ বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে রয়েছে। এ কারণে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। প্রতিবেশী ভারতের প্রযুক্তি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তিখাত। এই খাতে নলেজ শেয়ারিং, প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের সহযোগীতা প্রয়োজন। আশা করা হচ্ছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের সহযোগীতা আরও বাড়বে।
×