ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বোরহান বিশ্বাস

পদ্মা সেতু একটি আবেগের নাম

প্রকাশিত: ২১:৪২, ৭ জানুয়ারি ২০২২

পদ্মা সেতু একটি আবেগের নাম

সম্প্রতি পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। হেঁটে এবং গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন তাঁরা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে দুবোন সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হাঁটেন। কতটা আবেগী হলে সেই সাত-সকালে শৈত্যপ্রবাহের ভেতর সেতুতে ওভাবে হাঁটা যায়! তাদের ওই পদচারণা নিঃসন্দেহে পদ্মার দুই পারের মানুষকে অনেক আবেগী করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সেতু পরিদর্শনের ঘটনা জানতে পেরে আবেগের আতিশয্যে আমারও নিশ^াস ভারি হয়ে উঠেছিল। কবে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ফরিদপুর যাব! আমার সহধর্মিণীর ইচ্ছে অবশ্য রেলে চেপে ফরিদপুর যাওয়া। প্রায়ই ছেলেকে সে কথা বলতে শুনি। একটি সেতু- তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন, কত ভাবনা! কত লেখালেখি! কত ছবি আঁকা! আহা! আমার বাপ-দাদার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন। মায়ের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের (সাবেক বিক্রমপুর) বাড়ৈখালী। বাবার বিয়ের পর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে তার সহকর্মীদের কেউ কেউ রসিকতা করে বলতেন পদ্মার এক পারের মানুষের সঙ্গে অন্য পারের মানুষের মিলন হলো কীভাবে! বাবা বলতেন, ভাগ্যই তাদের দুই পারের দুইজনকে এক করে দিয়েছে। ফরিদপুর এবং বিক্রমপুরের মিলনেই আমাদের পাঁচ ভাইবোনের জন্ম। আজ যখন ‘দুই পারের মিলন’ নিয়ে পত্রিকায় শিরোনাম দেখি তখন বাবার মুখে শোনা সেই স্মৃতিজাগানিয়া কথাগুলো মনে পড়ে। মা নেই বাবা এখনও জীবিত। পদ্মার দুই পারের মিলনে তিনিও আবেগাপ্লুত। কত স্মৃতি বাবার মনের জানালা দিয়ে উঁকে দেয়! এই মাঝ বয়সে যখন পদ্মা পাড়ি দিই, ¯্রােতের তীব্রতা থাকলে নিজের অজান্তেই গলা শুকিয়ে আসে। অবশ্য বাবার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। তাদের সময় আকাশের অবস্থা দেখে তারা নৌকায় করে পদ্মা পার হতেন। কালেভদ্রে ঝড়ের কবলেও পড়তেন। শীতের রাতে একবার ফরিদপুর যাওয়ার সময় কুয়াশায় ফেরি মাঝ নদীতে আটকে পড়ায় সারারাত সেখানেই কাটিয়েছিলাম। নদীর এপার অর্থাৎ, ঢাকা থেকে বাবার ফোন, আর ওপার ফরিদপুর থেকে শাশুড়ির ফোন পাচ্ছিলাম একের পর এক। জীবনে প্রথমবারের ওই ঘটনায় আমাকে নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে, সময় কাটাতে চারতলা ফেরির ওপর-নিচে ওঠা-নামা করে আর গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গল্পে মেতেছিলাম। ভোরে যে দৃশ্যটি দেখেছিলাম সেটি এখনও মাঝে মাঝে মনকে নাড়া দেয়। ফেরির প্রথমতলার খোলা অংশে কিছু গাড়ি রাখা ছিল। ঠা-া বাতাসে কুয়াশায় জমে থাকা পানি গাড়ির ছাদ চুইয়ে নিচে পড়ছে। তার মধ্যে একটি বড় মাইক্রোতে লাশের কফিন নিয়ে দুজন মহিলা ও একটি শিশু বসে আছে। গাড়ির চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তারা সারারাত গাড়ির ভেতরেই বসা ছিলেন। এই লাশ নিয়ে তারা ঝিনাইদহ যাবেন। সেখানে কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে। রাত ১২টায় কবর দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীতে ফেরি আটকে যাওয়ায় সব ওলট-পালট হয়ে গেছে। অবশেষে সেই ফেরি ছেড়েছিল সকাল সাড়ে ৯টায়। জানি না লাশ নিয়ে গাড়িটি কখন ঝিনাইদহ পৌঁছেছিল! পদ্মায় একটি সেতু থাকলে দৃশ্যটি হয়ত অন্যরকম হতে পারত। দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ঢাকা থেকে লঞ্চ কিংবা ফেরিঘাটে সময় নিয়ে পৌঁছানো গেলেও সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়, ঘাটের যানজট। যা শীত ও ঈদে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। কিংবা পণ্য নিয়ে দিনের পর দিন ফেরির সিরিয়াল পাওয়ার অপেক্ষা। কি নিষ্ঠুরভাবে পারাপারের যাত্রীদের সময়গুলো কেড়ে নেয়া হয়! স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে বাস্তবে যাওয়া-আসা শুরু হলে সেই সমস্যা আর থাকবে না। নতুন এক দিগন্তের সূচনা হবে। দুই পারের মিলনে হেসে উঠবে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে মোংলাবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে বদলে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কৃষিতে উন্নত। সেতু হয়ে সেই কৃষিপণ্য সহজেই ঢাকায় চলে আসবে। সেতুটিতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যে বিশাল এলাকা গ্যাস থেকে বঞ্চিত রয়েছে আগামীতে তারা গ্যাস সংযোগ পেলে সেখানে কল-কারখানা স্থাপিত হবে। বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। যে অঞ্চলে বিদ্যুত ও গ্যাসের প্রবাহ এবং সড়ক ঠিক থাকে সেই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হতে বাধ্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। ২০৪০ সালে যে উন্নত বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই সেক্ষেত্রে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাঙালীর এত আশা যে পদ্মা সেতুকে ঘিরে, তাকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কাজটি তখন কাদা-মাটির মিশ্রণে সবেমাত্র তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু অবয়ব পাওয়ার ঠিক আগে এদেশেরই একজন নোভেলিস্টের প্ররোচণায় বিশ্বব্যাংক সেতুর জন্য তাদের নির্ধারিত ১২০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার থেকে সরে যায়। এ ধরনের কাজের শর্ত অনুযায়ী মূল ঋণদাতা চলে গেলে অন্যরাও চলে যায়। সেই ধারাতেই একে একে এডিবি, জাইকা ও আইডিবিও চলে যায়। আশা-নিরাশার দোলাচলের সেই সন্ধিক্ষণে প্রধানমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সে কি অভূতপূর্ব সাড়া! কোমলমতি শিশুরা পর্যন্ত তাদের টিফিনের টাকা সেতু নির্মাণের জন্য জমাতে শুরু করে দিল। পদ্মা সেতু থেকে বিশ^ব্যাংকের সরে যাওয়ার আঘাতটি পুরো বাঙালী জাতির আত্মসম্মানে লাগে। বিধায় নিজ অর্থেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যায় দেশ। সেই স্বপ্নটি প্রধানমন্ত্রী বাঙালী জাতিকে দেখাতে পেরেছিলেন। তবে, যে অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিতর্ক উঠেছিল, পরে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হওয়ায় কানাডার আদালত তা খারিজ করে দেয়। অভিযোগ ছিল- কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়ার চেষ্টায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে তাদের ঋণ বন্ধ করে দেয়। ওই দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন এবং ওই সময়ের সেতু বিভাগের সচিবকে গ্রেফতারের পাশাপাশি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যান। ধাপে ধাপে স্প্যান বসিয়ে সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে দুই পারের মানুষ ছাড়াও পুরো বাংলাদেশ উন্মুখ হয়েছিল। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে পদ্মা সেতু নিয়ে আরেক বিজয়ের উৎসব শুরু হয়েছিল তখন। এই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন গতিশীলতা আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলের পুরো এলাকার মাস্টার প্ল্যান করার কথা বলেছেন। ওই অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ভারি যানবাহন যাতায়াতের সুব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভিটা গোপালগঞ্জ ছিল সবচেয়ে অবহেলিত অঞ্চলের একটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর শুধু বঙ্গবন্ধুর লাশটি হেলিকপ্টারে করে গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অতি সন্তর্পণে জাতির পিতাকে দাফন করা হয়। উদ্দেশ্য, দৃষ্টির আড়ালে থেকে এক সময় মনের আড়ালে চলে যাবেন বাঙালীর স্বপ্নদ্রষ্টা। পরবর্তীতে দুই সেনাশাসকের শাসনামলে সেটিই আমরা লক্ষ্য করেছি। জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার সময় বগুড়া, চট্টগ্রাম ও রংপুরে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করা হলেও দক্ষিণাঞ্চলের পথ কণ্টকাকীর্ণই থেকে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরই গোপালগঞ্জ জেলার উন্নয়নের কাজে হাত দেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ জেলার উন্নয়ন আজ চোখ ধাঁধানোর মতো। অথচ একটা সময় ছিল যখন রাজধানী ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ সদরে যেতে সময় লাগত ১৬-১৭ ঘণ্টার মতো। তখন ঢাকা-আরিচা-ফরিদপুর-মাদারীপুরের সড়ক ধরে যেতে হতো গোপালগঞ্জ। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট থেকে একটি সরু রাস্তা ছিল গোপালগঞ্জ পর্যন্ত। অনেক সময় পর পর বাস আসত। ভাঙ্গাচোরা সড়কে কখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যাবে সেটাই ছিল যাত্রীদের ভয়। গোপালগঞ্জে যাওয়ার এই একটিমাত্র রাস্তাই ছিল। এছাড়া টেকেরহাট থেকে লঞ্চে করেও যাওয়া যেত বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমিতে। ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে রাতে একটি মাত্র লঞ্চ ছেড়ে যেত গোপালগঞ্জের উদ্দেশে। রাত পেরিয়ে পরদিন অনেক বেলায় কুমার নদ ও মধুমতি নদী পাড়ি দিয়ে গোপালঞ্জ যেত সেই লঞ্চ। তবে, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া ছিল রীতিমতো কঠিন সংগ্রামের বিষয়। লম্বা সময় নৌকায় ভ্রমণ করে ওই অঞ্চলের মানুষদের যেতে হতো টুঙ্গিপাড়ায়। দীর্ঘ এই যাত্রার ধকল সহ্য করার মতো শারীরিক সক্ষমতা অনেকেরই থাকত না। আজ গোপালগঞ্জ দেখলে বোঝা যাবে না ‘বঙ্গবন্ধুর’ জেলাটি কতটা অবহেলিত ছিল। ঝকঝকে তকতকে প্রশস্ত মসৃণ রাস্তায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল করায় মানুষ আরাম-আয়েশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছেন গোপালগঞ্জ। দিনে গিয়ে দিনেই জাতির পিতার কবর জিয়ারত করে ঢাকায় ফিরতে পারছেন রাজধানীবাসী। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া হয়ে ফেরিতে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ওপারে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে দিন-রাত গাড়ি চলছে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে। আর স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সময় লাগবে আরও অনেক কম। দৃষ্টিনন্দন এ কাজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একধাপ পূরণ হয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক দশক আগেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ ছিল একটি পিছিয়ে পড়া জনপদ। ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেন। ফলশ্রুতিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক নির্মিত হয় গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে। ফলে, এ মহাসড়ক হয়ে গোপালগঞ্জ থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা বরিশাল, নড়াইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট এবং খুলনায় যাতায়াত করা যায়। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা আট লেনের সড়ক) উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজা করে বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারব।’ এটি শুধু প্রধানমন্ত্রীর কথাই নয়, আমাদেরও কথা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে স্বল্প সময়েই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছুতে পারবে। এই সেতুর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আবেগ ও ভালবাসা আসলে বলে বোঝানোর নয়। এ যেন অনেক দিনের বঞ্চনার পর যুদ্ধে জয়ী হওয়া। তাই পদ্মা সেতুকে ঘিরে আমাদের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই। লেখক : সাংবাদিক
×