ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমিকের আত্মহননের খবরে প্রেমিকার আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ৬ জানুয়ারি ২০২২

প্রেমিকের আত্মহননের খবরে প্রেমিকার আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মাগুরায় প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা। তারা দুজনই স্কুল শিক্ষার্থী। প্রেমঘটিত মনোমালিন্যের জের ধরে মাগুরা পৌর এলাকার বরুনাতৈল ও এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম বারাশিয়া গ্রামে ঘটেছে পৃথক এ ঘটনা। আত্মহননকারী দুজন হচ্ছে বরুনাতৈল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুমন মোল্যা (১৯) এবং পার্শ্ববর্তী বারাশিয়া গ্রামের হিরোক মিয়ার মেয়ে এ্যানি খাতুন (১৬)। সুমন মাগুরা সরকারী কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র। এ্যানি মাগুরা দুধমল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। সুমনের প্রতিবেশীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন তার শয়ন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করায় সুমনকে ডাকতে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অনেক ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে সুমনকে ঘরের ভেতর আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে সুমনের গলায় রশি দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পার্শ্ববর্তী বারাশিয়া গ্রামের তরুণী এ্যানির সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয়ে কয়দিন যাবত সুমনের মনোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার সকালে সুমনকে নিজ এলাকা বারাশিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। অন্যদিকে প্রেমিক সুমনের আত্মহত্যার খবর শুনে বুধবার সকালে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায় প্রেমিকা এ্যানি খাতুন। এ্যানির প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ্যানি ঘরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ করে থাকায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেলে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা তাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সকাল ১০টার দিকে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে সুমনের আত্মহত্যার খবর পায় এ্যানি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সে আত্মহননের এ ঘটনা ঘটায়। মঙ্গলবার প্রেমঘটিত কোন বিষয় নিয়ে সুমন ও এ্যানির মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানতে পেরেছেন বলে জানান। অপরিণত প্রেম ও আবেগের বশবর্তী হয়ে তারা এই আত্মহননের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তবে উভয় পরিবারের কেউ এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
×