ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শোবার ঘরের নান্দনিক সাজ

প্রকাশিত: ০০:০৯, ৩ জানুয়ারি ২০২২

শোবার ঘরের নান্দনিক সাজ

সুন্দর পরিপাটি গৃহসজ্জা প্রতিদিনের জীবনের অতি প্রাসঙ্গিক অনুষঙ্গ। আবহমানকাল থেকে বাঙালী রমণীরা নিজেরা যেমন সাজতে ভালবাসেন একইভাবে গৃহের আঙিনাকেও সাজে-সজ্জায় পূর্ণ করে তোলেন। মনোমুগ্ধকর পারিবারিক পরিবেশ শরীর স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপভোগ্য। গৃহের সুন্দরতম আয়োজনে তাকে পরিপূর্ণ দেয়াও নিয়মিত দায়ভাগের অংশ। একটি আবাসিক বাড়ি কয়েকটি রুমে প্রাসঙ্গিকভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখা হয়। সেখানে ড্রইং, ডাইনিং, বেডরুম, কিচেন এবং সংলগ্ন বারান্দাও মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করা গৃহিণীদের এক আবশ্যিক শখ। শুধু যে শখের বশে ঘর সাজানো হয় তা কিন্তু নয়। বরং ঘরটি যাতে দৃষ্টিনন্দন এবং পরিপাটিভাবে অন্যের দৃষ্টি কাড়তে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দেয়া হয়। মূলত শোবার ঘরকেই মনের মতো করে সাজিয়ে রাখাটা গৃহিণীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থাকে। স্বামী-স্ত্রীর শোবার ঘর কিংবা সন্তানদের নিজেদের আলাদা রুম- সব মিলিয়ে শোবার ঘরের আবেদনও থাকে হরেক রকম। শোবার ঘরে মূলত খাট, আলমিরা ড্রেসিং টেবিল, বেডসাইড টেবিল ছোট একটি আলনা ছাড়া টুকিটাকি কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে গুছিয়ে রাখাই গৃহকর্ত্রীর আনন্দ আয়োজন। আধুনিক যুগের ব্র্যান্ডের আসবাবপত্র মনোমুগ্ধকর এবং শৈল্পিক কারুকার্জে রুচিসম্মতভাবে নির্মিত। হাতিল কিংবা অটোবির আসবাবপত্রের আবেদনই সবচেয়ে বেশি। আবার অনেকে সরাসরি বিভিন্ন মূল্যবান কাঠের তৈরি আসবাবপত্রে ঘরকে রাঙিয়ে তোলেন। মেহগনি এবং সেগুন কাঠের মতো মূল্যবান সামগ্রী দিয়ে তৈরি ফার্নিচার সত্যিই ঘরটির শোভাবর্ধন করে দৃষ্টিনন্দনের পর্যায়ে চলে যায়। তবে কাঠ যাই হোক সাজানোর ওপর নির্ভর করে শোবার ঘরে অঙ্গসজ্জা। শুধু আসবাবপত্র নয়, হরেক রকম মনোমুগ্ধকর শোপিচও ঘরের সাজকে অন্যমাত্রায় রাঙিয়ে তোলে। শুধু বস্তুগত উপাদানে ঘরকে পরিপূর্ণ করা যায় না। সেখানে শৈল্পিক দ্যোতনায় মানসিক প্রস্তুতিও অত্যাবশ্যক। প্রথমে ঠিক করে নেয়া বাঞ্ছনীয় কিভাবে আসবাবপত্র সেট করা যাবে। সবচেয়ে বড় শোবার ঘরটিতে ডাবল খাট এমনভাবে রাখতে হয় যাতে স্থানের অপব্যবহার না হয়। আবার খাটটিও ঠিকঠাকভাবে রাখা যায়। মাঝখানে রাখলেও স্থান সঙ্কুলানকে বিবেচনায় আনতে হয়। অনেকেই আবার একেবারে সাইডে পাতার চেষ্টা করেন। সেটা অবশ্য ঘরের জায়গা এবং খাটের সাইজ অনুযায়ী বিচার বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে। অত্যাধুনিক ভবনগুলোতে স্থান সঙ্কুুলানের কারণে ওয়াল আলমারির ব্যবস্থা থাকে। যাতে অন্য কোন আলমারির জায়গার প্রয়োজনই পড়ে না। তবে ড্রেসিং টেবিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং জরুরী আসবাবপত্র। যার অভাবে সবাই ব্যতিব্যস্ত হতে সময় লাগে না। সেটাও এমনভাবে সাজাতে হয় যাতে রূপচর্চায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে- যেটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জ্ঞানচর্চায় নিবেদিত মানুষদের শোবার ঘরেও একটা বুক শেলফ থাকে। ছোট একটি চেয়ার ও পড়ার টেবিল রাখতেও দেখা যায়। যদিও পড়ার একটা ঘর আলাদা হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়। শিক্ষার্থী ছেলেমেয়েদের জন্য যা অত্যন্ত দরকার। শিক্ষক দম্পতির জন্যও যা জরুরী বললে বেশি বলা হয় না। যাপিত জীবন প্রতিবেদক
×