ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন শান্তা খানমও

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন শান্তা খানমও

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া দুই সন্তান ও স্বামীর পর অবশেষে শান্তা খানমও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শান্তা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির কাওসার খানের স্ত্রী। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা খানমের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন খান (৫) ও ফাতেমা নোহরা খানমের (৩) মৃত্যু হয়। পরে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শান্তার স্বামী কাউসার খান। শান্তা খানমের স্বামী কাওসার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন। গত শনিবার সন্ধ্যায় কাওসার খানের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায় তার মরদেহ আনা হয়। আগের দিন আনা হয় তার দুই শিশু সন্তানের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার আনা হচ্ছে শান্তা খানমের মরদেহ। একই কবরস্থানে দুই সন্তান ও স্বামীর সঙ্গেই শান্তাকে কবর দেওয়া হবে। নিহত কাওসার খানের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, চাকরির সুবাদে ১০ বছর ধরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত কাউসার। কাউসার আবুল খায়ের গ্রুপে রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করত। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেল। সরকারের কাছে আমি এর ক্ষতি পূরণ চাই।
×